ডেস্ক প্রতিবেদন : সমৃদ্ধি অর্জনে ব্লু ইকোনমিকে (সামুদ্রিক অর্থনীতি) কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে। বাংলাদেশকে অনুসরণ করে এসকেপভুক্ত অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির নির্বাহী সচিব শামসেদ আখতার।
বুধবার (০৮ জুলাই) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন জোটের (ইউএন-এসকেপ) আয়োজনে জাতিসংঘ সদর দফতরে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশসহ এসকেপ’র সদস্য রাষ্ট্রগুলো অংশ নেয়। বৈঠকটি সঞ্চলনা করেন জাতিসংঘের ব্যাংককভিত্তিক এ আঞ্চলিক সংস্থটির নির্বাহী সচিব শামসেদ আখতার।
বৈঠকে এসকেপ আয়োজিত বিভিন্ন আঞ্চলিক বৈঠক ও আলোচনার ফলাফল, পরিবেশ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, ব্লু ইকোনমি (সামুদ্রিক অর্থনীতি), দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, শক্তি দক্ষতা, অর্থনীতি ও দেশভিত্তিক অভিজ্ঞতাসহ টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে এর সঞ্চালক শামসেদ আখতার টেকসই উন্নয়নের ওপর আঞ্চলিক আলোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি এসময় টেকসই উন্নয়ন প্রস্তাবনার (এসডিএ) চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, এসডিএ’র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশভিত্তিক অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে এসকেপ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সামর্থ্য বাড়ানোর কৌশল হাতে নিতে পারে।
টেকসই উন্নয়নে (এসডি) এশিয়া-প্যাসিফিক ফোরামের ২০১৫ সালের ভাইস-চেয়ারপার্সন শ্রীলঙ্কার ভিজিরা নারামপানাওয়া উপ-আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণ এসডিএ’র বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেন।
ব্লু ইকোনমির পর আলোকপাত করে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশকে ৩৩ কোটি বর্গকিলোমিটারেরও বেশি সামুদ্রিক অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে, যা এ অঞ্চলে এসডিএ বাস্তবায়নে বিশেষ দাবি রাখে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে বঙ্গোপসাগরকে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের কেন্দ্রে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের সমৃদ্ধিতে সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবহারে তিনি বিশদ পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছেন।
বৈঠকে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এমডিজি) উল্লেখযোগ্য অর্জনকে সামনে রেখে সার্বিক ও টেকসই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা হবে বলে একমত হয় এসকেপভুক্ত রাষ্ট্রগুলো।
এ বিভাগের আরো..
তেঁতুলিয়ায় আই এফ আই সি ব্যাংকের উদ্যোগে আর্থিক স্বাক্ষরতা দিবস
বগুড়া যমুনা চরে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা
জিরা চাষে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে কৃষক জহুরুল