নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন বছর অাগে সুন্দরবন থেকে ঢাকায় পাচার হয়ে অাসা বাঘিনী জ্যোতি অবশেষে মা হয়েছে। কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গত মঙ্গলবার তিনটি শাবকের জন্ম দেয় সে। শাবক তিনটির মধ্যে একটি মেয়ে ও বাকি দুটি ছেলে।
এর অাগে দুই মাস বয়সে সুন্দরবন থেকে ঢাকায় পাচার হয়ে অাসে জ্যোতি। তার সঙ্গে একই বয়সের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে শাবকও ছিল। ২০১২ সালের ১১ জুন ঢাকার শ্যামলী এলাকা হতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে চোরাশিকারীদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করে। পরে তাদের নাম রাখা হয় জয়, জ্যোতি ও জুঁই।
বাঘ জয় ও মা জ্যোতি বর্তমানে কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে রয়েছে। সদ্য জন্মানো তাদের বাচ্চা তিনটিকে ভেটেরিনারি সার্জন ড. মুস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পরিচর্যা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১২ সালে উদ্ধারের সময় জয় জ্যোতি ও জুঁইয়ের ওজন ছিলো গড়ে ২ কেজি। সেসময় বন বিভাগের বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. জাহেদ মোহাম্মদ মালেকুর রহমানের নিবিড় তত্ত্বাবধানে মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের রিয়ারিং হাউজে চার মাস ধরে জয়, জ্যোতি ও জুঁইকে সফলভাবে হ্যান্ড রিয়ারিং ও উপযুক্ত পরিচর্যা এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর তাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কে বাঘের বেস্টনিতে অবমুক্ত করা হয়।
ড. তপন কুমার দে জানান, বর্তমানে তাদের বয়স ৩ বছর ২৫ দিন। এর মধ্যে জুঁইকে ঢাকা চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বাঘ জয় ও বাঘিনী জ্যোতি পূর্ণাঙ্গভাবে বৃদ্ধি পায় এবং তাদের মধ্যে সফল প্রজনন হয়। তাদেরকে পর্যায়ক্রমিকভাবে মুরগী, গিনিপিগ, খরগোশ, শুকর ছাগল ও হরিণ ছেড়ে দিয়ে শিকারী ও হিংস্র করে তোলা হয়। তবে সুন্দরবনে অবমুক্ত করার বিষয়ে মতপার্থক্য থাকায় এ কাজটি করা সম্ভব হয়নি। এজন্য তাদেরকে পর্যায়ক্রমিকভাবে মিনি এনক্লোজার হতে বিশেষ করে বড় এনক্লোজারে ছাড়া হয়। বর্তমানে মা জ্যোতি ও শাবকরা ভাল আছে। তবে শাবকদের নিরাপত্তার জন্য বাবা জয়কে আলাদা রাখা হয়েছে।
এ বিভাগের আরো..
প্রতিনিয়ত বুড়িগঙ্গার দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে
উপকূলীয় মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করছে সামাজিক ম্যানগ্রোভ বনায়ন
পানিতে উচ্চ লবণাক্ততা উপকূলীয় নারীদের মারত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করছে