April 28, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

মেনোপজ: নারীত্ব, যৌনতা, আবেগ, শারীরিক জটিলতা, রজঃনিবৃত্তির প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন

ডেস্ক: মেনোপজ, বাঙলায় যাকে বলে রজঃনিবৃত্তি, অর্থাৎ নারীদের একটি বয়সের পর পুরোপুরি মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া। পৃথিবীর সকল নারীর জীবনে একটি বয়সে এসে এটি ঘটে কিন্তু বাংলাদেশে শব্দটি নিয়ে সহসা আলোচনা হতে দেখা যায় না।

মেনোপজ নারীর শরীরে প্রচুর পরিবর্তন নিয়ে আসে। সঠিক যত্ন না নিলে অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে নারীরা মেনোপজের প্রভাব নিয়ে কথা বলেন না, এর জন্য কোন প্রস্তুতি নেন না এবং নীরবে মানিয়ে নেন।

মেনোপজ নিয়ে কয়েকজন নারীর ভাবনা
ঢাকার একটি আবাসিক এলাকায় ফ্ল্যাটের দরজা খুলে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন ঘরের গৃহকর্ত্রী। বসতে বলে চায়ের জোগাড় করতে গেলেন। মেনোপজের মতো একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলেন। দুই ছেলে মেয়ে চারপাশে আছে কিনা একটু নজর বুলিয়ে নিলেন। দুই ছেলেমেয়ে যার যার ঘরে গান শুনছে দেখে একটু আশ্বস্ত হলেন। কিন্তু আসল কথায় এলে মেনোপজ সম্পর্কে খুব বেশি ধারণা দিতে পারলেন না ৪৫ বছর বয়সী এই নারী।

তিনি জানালেন, “না আমি আসলে কোন প্রস্তুতি নেই নাই বা এরকম কিছু সম্পর্কে আসলে খুব একটা জানিও না”।

কেউ কি কখনো বিষয়টি বিষয়টা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “হ্যাঁ আমি শুনছি মাসিকটা বন্ধ হয়ে যায়। তখন কিছু শারীরিক সমস্যা হয়। আমাদের বড় বোন ও ভাবিদের কাছে শুনেছি”। বিশ্বব্যাপী সকল নারীর একটি বয়সের বাস্তবতা হচ্ছে মেনোপজ বা রজঃনিবৃত্তি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত ব্রিটিশ মেডিকেল বুলেটিন বলছে, বয়স অনুপাতে গড়ে একজন নারীর জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় মেনোপজের মধ্য দিয়ে কাটে। যার একদম প্রাথমিক লক্ষণ খুব গরম লাগা।

সেই অনুভূতিকে গুরুত্ব দেননি এমন একজন বলছিলেন, “আমার মাঝেমাঝে হঠাৎ যখন খুব গরম লাগতো, একদম মনে হত যে শরীর জলে যাচ্ছে, ভাবতাম কিরে এত গরম লাগে কেন? এরকম হচ্ছে কেন? আবার হঠাৎ মেজাজ খুব খিটখিট লাগতো। বুঝতাম না প্রথমে, পাত্তাও দেই নাই।”

গরম ও খিটখিটে মেজাজের চেয়েও অনেক বেশি প্রভাবিত হয়েছে এই নারীর শরীর। অস্টিওপোরোসিসের কারণে তার মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে গেছে।

হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার কিছু লক্ষণ আগেই বুঝেছিলেন কিন্তু মনোপজের পর তা বেশ জটিল আকার ধারণ করে।

তিনি বলছেন, “আমার বয়স এখন ৫৫। আমার মাসিক বন্ধ হইছে ৫০ বছরের দিকে। ফ্যামিলিতে মেয়েমানুষ যারা ছিল তারা সবাই আমার চেয়ে বয়সে ছোট। কারোর সাথে যে কথা বলবো সেটাও পারি নাই”।

ডাক্তারের কাছে যখন গেছি, আমাকে বলছে, “আমার অনেকগুলো বাচ্চা হইছে তাই এমনিতেই হাড় দুর্বল। কিন্তু মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সমস্যাটা অনেক বেড়ে গেছে। মাসিক বন্ধ হওয়ার সাথে এরও যে সম্পর্ক আছে তাতো বুঝি নাই।”

আবার মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক নারীর কাছে বরং স্বস্তির একটি বিষয়। চা খেতে খেতে কথা হচ্ছিল ঢাকার আবাসিক এলাকায় সেই দুই সন্তানের জননীর সাথে।

“এটা বন্ধ হয়ে গেলে মনে হয় আমার ভালই লাগবে। আমার আর ছেলে মেয়ের দরকার নেই। এটা (মাসিক) আমার কাছে একটা ঝামেলা লাগে।”, কথাগুলো বলে তিনি বেদম হাসতে লাগলেন।

মেনোপজ হলে নারীর শরীরে যা ঘটে
বাংলাদেশ মেনোপজ সোসাইটির তথ্যমতে এদেশে নারীদের মনোপজের গড় বয়স ৫১ বছর।

মেনোপজের বয়স প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে ভিন্ন। মেনোপজের প্রক্রিয়াটি কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে ঘটে।

সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে নারীদের মেনোপজ হয়ে থাকে। অনেক সময় এই বয়সের মধ্যে থেমে থেমে কয়েক মাস পরপর ঋতুস্রাব হতে পারে।

অনেক সময় কোন অস্ত্রোপচারের কারণে যদি কোনও নারীর দুটো ওভারি অথবা জরায়ু ফেলে দিতে হয় তাহলেও হঠাৎ মেনোপজ হয়ে যায়।

তবে একটানা ১২ মাস যখন ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে, তখন সেটিকে চিকিৎসকেরা মেনোপজ বলে থাকেন।

বাংলাদেশ মেনোপজ সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক গুলশান আরা বলছেন, মেনোপজের ফলে নারীর শরীরে যে পরিবর্তনগুলো হয় তার পেছনে মূল কারণ ইস্ট্রোজেন নামের একটি হরমোন। যা নারীর শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলছেন, “ইস্ট্রোজেন নারীদের নানাভাবে প্রটেকশন দেয়। যেমন নারীর মেনোপজের আগে পুরুষের চেয়ে হার্ট ডিজিজ কম হয় এবং ইস্ট্রোজেনের জন্যেই। কিন্তু যখনই তার মেনোপজ হয় তখন কিন্তু নারী ও পুরুষ হার্ট ডিজিজের সমান সমান রিস্কে থাকে। ইস্ট্রোজেন হরমোন নারীর প্রজনন গ্রন্থিকে তো প্রোটেকশন দেয়ই, ইস্ট্রোজেন নারীর মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। তাছাড়া ইস্ট্রোজেন নারীর হাড়ের জন্য ভাল। ইস্ট্রোজেন হরমোন নারীর শরীরে আরও অনেক কাজ করে।”

গুলশান আরা বলছেন, তার কাছে মেনোপজ নিয়ে কথা বলতে আসেন এমন নারীর সংখ্যা খুবই বিরল।

মেনোপজের ফলে ইস্ট্রোজেন হরোমন কমে যাওয়ায় নারীর শরীরে আর কি ঘটে সে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ধারনা দিলেন তিনি।

“মেনোপজের কারণে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে গেলে সবচেয়ে প্রথমে যেটা ঘটে সেটা হল হটফ্লাস। দিনের মধ্যে কয়েকবার হঠাৎ করে খুব গরম লাগে। মুখ লাল হয়ে যায়, ঘেমে যায়। এছাড়া অনেক কিছু ভুলে যাওয়া, খুব ছোটখাটো বিষয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলা।

অনেকে প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে না, একটু হাঁচি কাশি দিলে প্রস্রাব পড়ে যায়। যোনিপথ শুকিয়ে যায়, জ্বালা-পোড়া হয়। আর ইস্ট্রোজেন না থাকার আর একটা দীর্ঘমেয়াদি এফেক্ট হল অস্টিওপোরোসিস।”

অস্টিওপোরোসিস
এটি মেনোপজ পরবর্তী সবচেয়ে জটিল সমস্যাগুলোর একটি। এটি হাড়ের ক্ষয়জনিত একটি রোগ।

মেনোপজ পরবর্তী সময়ে নারীরা অস্টিওপোরোসিসের বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। পুরুষের চেয়ে নারীর হাড়ের পুরুত্ব কম।

ইস্ট্রোজেন তাকে এ থেকে নিরাপত্তা দেয়। কিন্তু শরীরে মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেন হরমোনের নিরাপত্তা কমে যায়।

এর কোন উপসর্গ থাকে না কিন্তু খুব অল্পতেই হাড় ভেঙে যেতে পারে।

নারীর শরীরে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম এবং কায়িক পরিশ্রমের অভ্যাস না থাকলে মেনোপজ পরবর্তী সময়ে অস্টিওপোরোসিস জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

এছাড়া ঘুম না হওয়া, উদ্বেগ, মনমরা ভাব এবং যৌন মিলনে আগ্রহ কমে যাওয়া মেনোপজ পরবর্তী কয়েকটি অভিজ্ঞতা।

সকল নারীর অভিজ্ঞতা অবশ্য একরকম নয়।

বাংলাদেশে নারীরা মেনোপজ নিয়ে কেন নীরব থাকেন?
মাসিক শুরু হলে যেমন নারীর শরীরে আমূল পরিবর্তন ঘটে, সেটি বন্ধ হয়ে গেলেও বদলে যায় অনেক কিছু।

চিকিৎসকেরা বলেন মেনোপজের জন্য আগেভাগে একজন নারীর প্রস্তুতি দরকার।

কিন্তু বাংলাদেশে নারীদের মেনোপজের প্রভাব নিয়ে কথা বলতে যেমন দেখা যায় না, এর জন্য কোন প্রস্তুতিও তারা নেন না এবং কোন সমস্যা হলে নীরবেই তা সহ্য করেন।

বাংলাদেশে মেনোপজ বিষয়ে অনেক নারীর জ্ঞান বেশ সীমিত বলে মনে হয়।

মেনোপজ মানে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া এর বাইরে তেমন কোন তথ্য তাদের জানা নেই।

আর চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা সাধারণত স্বামী অথবা পরিবারের অন্য কোন সদস্যের উপর নির্ভরশীল।

অন্য কোন শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে যেমন, মেনোপজের ক্ষেত্রে বিষয়টি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় না। যদি না তা বড় কোন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে।

প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে গবেষণা করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথের অধ্যাপক আফসানা কাওসার।

তিনি বলছেন, পশ্চিমা বিশ্বে মেনোপজ নারীদের জন্য অনেক বড় ইস্যু।

“তাদের কাছে যৌনতা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকে চেহারায় মেনোপজের ছাপ পড়লে, অর্থাৎ মেনোপজের কারণে সৌন্দর্য কমে গেলে তারা ছবি পর্যন্ত তুলতে চান না। সেখানে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি হয়। অনেক কিছু করেন নারীরা। তারা এটি নিয়ে কথা বলেন।”

তার ভাষায়, বাংলাদেশে নারীর জীবনের পরবর্তী ধাপ যেমন সে শাশুড়ি, নানী ও দাদী হয়ে উঠবে।

সন্তান জন্মদান, যৌনতা, সৌন্দর্য, শরীরের এই দিকগুলো তার জন্য গৌণ হয়ে উঠবে, সেটি সামাজিকভাবে ঠিক করে করে দেয়া থাকে। এর উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলে মেনোপজের প্রতি মনোভাব গড়ে উঠেছে বলে তিনি মনে করেন।

“এই অঞ্চলের কথা বলি, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল, এখানে নারীর এই শারীরিক পরিবর্তনটা খুব প্রাকৃতিক পরিবর্তন হিসেবে গ্রহণ করা হয়। যুগ যুগ ধরে এটা খুব ন্যাচারালভাবে চলে এসেছে”।

“এখানে নারীরা বাড়িতে থাকেন, সংসার সন্তান এসব দেখভাল করে থাকেন। একটা সময় নাতি নাতনির দায়িত্ব তার উপরে আসে। নারী কোন সময়ে থেমে নেই। তার জীবন চলমান জীবন। এমন চলমান জীবনে সে তার এই পরিবর্তনটা অনেক সময় বুঝতেই পারে না।”

যৌনতা ও মেনোপজ
কিন্তু সমস্যাটি যদি হয় যৌনতা বিষয়ক তাহলে সে নিয়ে এখানে কথা বলা রীতিমতো অস্বাভাবিক ব্যাপার।

যৌনতায় নারীর আগ্রহ থাকলে সেটি সমাজের পছন্দ নয়। যৌনতা নিয়ে নারী এদেশে কথা বলে খুব কম।

কিন্তু গাজীপুরে একটি কলেজের শিক্ষক কাজি রোমেনা বলছিলেন, মেনোপজের পর তার শরীরের যৌনতা যে আর আগের মতো নেই সেটি তিনি অনুভব করেন।

তিনি বলছেন, “অনেক সময় মনে হয় যে মাসিকের কারণে নিজের শরীরের ভেতরে একটা উর্বরতা অনুভব করা, সেই উর্বরতাটা মিস করছি। ওইখানে আমি একটা অভাব বোধ করছি। যখন একটা মেয়ের পিরিয়ড হয় তখন যে এটা ফিল করে। কিন্তু এখন অনবরত দিনের পর দিন একই রকম চলছে। উর্বরতা ফিল করতে পারছি না।”

মেনোপজের পর প্রায়শই দাম্পত্য জীবনে যৌনতায় সমস্যা হবে বলে ধারণা করা হয়।

যোনিপথ শুকিয়ে যাওয়াকে সেজন্য অনেকে দায়ী করেন।

তবে চিকিৎসকেরা বলেন এটি ভ্রান্ত ধারনা। নারীরা অনেকে যৌনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন বলে বলে মনে করা হয়।

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার বলছেন, অনেক নারী মনে করেন স্বামী হয়তো তাকে আর আগের মতো ভালবাসবেন না, তার নারীত্ব হারিয়ে যাবে, এসব চিন্তার কারণে মেনোপজ হওয়ার পর নারীরা অনেকেই আশা হারিয়ে ফেলেন, অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।

তিনি বলছেন, “নারীত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হল সন্তান ধারণের ক্ষমতা। এর সাথেই মাসিকের সম্পর্ক। মাসিকের সাথে আর একটা যে ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল যৌনতা। অনেক নারীর মনের মধ্যে একটা ভয় থাকে যে সে বোধহয় সেক্সুয়ালি আর আগের মতো পারফর্ম করতে পারবে না।”

এছাড়া একজন নারী অনেক দিন ধরে একটি শারীরিক অভিজ্ঞতার সাথে বসবাস করেন। কিন্তু মেনোপজের মাধ্যমে তিনি নতুন একটা ধাপে প্রবেশ করেন। তার শরীরের অনেক বড় একটি পরিবর্তন ঘটে, সেই সাথে তার জীবনেও অনেক বড় একটি রূপান্তর ঘটে। অনেকের এসব আমূল পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়।

ডা. মেখলা সরকার বলছেন, “দেখা যায় কোন সমস্যা না থাকলেও ইনসিকিউরিটি থেকে সমস্যাটা আসলেই দেখা দেয় এবং এদেশে অনেক নারী যৌনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।”

যা করলে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে
ডা. গুলশান আরা বলছেন মেনোপজ কোন অসুখ নয় যে এর চিকিৎসা দরকার হবে।

৩০ বছর বয়স থেকে কিছু বিষয় মেনে চললেই ইস্ট্রোজেন কমে গেলে যে সমস্যাগুলো হয় তার প্রভাব অতটা মারাত্মক হয় না। সে নিয়ে কিছু পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

“প্রতিটি নারীর মেনোপজ সম্পর্ক সচেতন থাকা প্রয়োজন। এটা সুসম খাবার গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, কায়িক পরিশ্রম ও জীবনে অ্যাক্টিভ থাকার উপর নির্ভর করে। একদম শুরু থেকে যদি আমরা লাইফস্টাইলটা এরকমভাবে তৈরি করি, খাবার যদি সুসম হয়, সচেতনতা থাকে তখন অনেক ভালোভাবে অ্যাডাপ্ট করা যায়, জটিলতাগুলো কম হয়।”

জটিলতাগুলো কমানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল বিষয়টি নিয়ে কথা বলা।

বয়ঃসন্ধিকালে একটা সময় হলে মেয়েদের ঋতুস্রাব শুরু হওয়াটাই যেমন স্বাভাবিক, ঠিক তেমনি একটি বয়সের পর পুরোপুরি মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়াও নারীর শরীরের জন্য প্রাকৃতিক নিয়ম।

তার নানা দিক নিয়ে কথা বলে, সঠিক তথ্য জেনে নিলে যে কোন ক্ষতি নেই সেই বিষয়টি এখনো বাংলাদেশে গুরুত্ব পাচ্ছে না।

সূত্র: শাহনাজ পারভীন,বিবিসি বাংলা।

Print Friendly, PDF & Email