April 28, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

ইতিহাসের ধারবাহিকতায় জাতীয় প্রেসক্লাব বহুমাত্রিক সমাজ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে :তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক:  ইতিহাসের ধারবাহিকতায় জাতীয় প্রেসক্লাব আগামী দিনগুলোতেও দেশপ্রেম, গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত থেকে বহুমাত্রিক সমাজ নির্মাণে ভূমিকা অব্যাহত রাখবে  বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডে ক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী প্রেসক্লাব সদস্যদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের উজ্জ্বল কর্মময় জীবন কামনা করেন।
ড. হাছান বলেন, আমাদের পূর্বসুরীরা যে স্বপ্নে আপন প্রাণের মায়া ত্যাগ করে এদেশ স্বাধীন করে গেছেন, সবাই মিলে দেশকে সেই স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেবার মধ্যেই আমাদের কর্মের সার্থকতা নিহিত।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বিস্তারিতভাবে ক্লাবের ভবিষ্যৎ পথ নকশা বর্ণনা করেন। সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সহসভাপতি হাসান হাফিজ ও রেজওয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনুল আলম ও মো: আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা কমিটি ও উপকমিটিগুলোর সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আমন্ত্রিত সাংবাদিক ও অতিথিবর্গের  মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
১৯৫৪ সালের ২০ অক্টোবর পূর্ব পাকিস্তান প্রেস ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেস ক্লাব।নীতিমালা অনুযায়ী নির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত এ ক্লাবের প্রথম আজীবন সদস্য হলেন এন এম খান এবং ক্লাবের প্রথম সভাপতি ছিলেন মুজীবুর রহমান খাঁ।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইটের সময় পুরো ক্লাব ভবনটি বিধ্বস্থ হয়ে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৫ মার্চ তৎকালীন সভাপতি আবদুল আউয়াল খানের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিক ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ক্লাবের নাম ‘জাতীয় প্রেস ক্লাব’ হয়। (বাসস)

Print Friendly, PDF & Email