April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্টার ৭৫ বৎসর।

আলী আসগর স্বপনঃ ১০ জুলাই তে ৭৫ বছরে পা দিচ্ছে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ ” ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ “। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল ঐতিহাসিক ঘটনার উজ্জ্বল সাক্ষী হয়ে আছে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বৃন্দ। বর্তমান মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ড. দীপু মনি , বর্তমান আইইডিসিআর এর পরিচালক ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হক , ড. এম আর খান , সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক প্রমুখ সহ অসংখ্য কৃতী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা বিদ্যাপীঠ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ।
ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঢাকায় একটি স্বয়ংসম্পূর্ন মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের। এই লক্ষ্যে ১৯৩৯ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয় মেজর ডাব্লিউ জে. ভার্জিন এর নেতৃত্বে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হওয়ায় তা স্থগিত থাকে।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় আমেরিকানরা তখনকার পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের সচিবালয় টি কে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। তখন এর নাম হয় ” American Based Armed Force Hospital” ।
১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হলে এই হাসপাতাল টি কে ১০০ শয্যা তে উন্নীত করা হয়। তখন আবার সেই কমিটি কাজ শুরু করে একে মেডিক্যাল কলেজ হিসেবে কাজে লাগানোর।
এরপর ১৯৪৬ সালে ১০ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রধান ডাব্লিউ জে ভার্জিন সাহেব ছিলেন কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ।
কলেজটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদের আওতায় আনা হয়। এবং প্রাক্তন সচিবালয় ভবনটির একাংশ ছিল মেডিক্যাল কলেজ , একাংশ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর কলা ভবন।
পরে পুরো ভবন টাই মেডিক্যাল কলেজ এর জন্যে ছেড়ে দেয়া হয়।
১৯৫৫ সালে আলাদা অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মিত হয় যা বর্তমানে কলেজ বিল্ডিং নামেই সবাই জানে। আর পুরনো ভবনটির কিছু বর্ধন করে এর হাসপাতাল ও প্রশাসনিক অংশ আলাদা করা হয়। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত প্রিন্সিপাল সব কিছুর তত্ত্বাবধান করেন । এরপর হাসপাতালের প্রধান হিসেবে পরিচালক নিয়োগ হন।
২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় ও নতুন ভবন উদ্বোধন করেন যা ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট। বর্তমানে হাসপাতালটি ২৫ একর জমিতে ২৩০০ শয্যাসম্পন্ন হয়েছে ।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষা, বিকাশ এবং দেশের চিকিৎসা সেবায় বরাবর নেতৃত্ব দিয়ে আসছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ।
প্লাটিনাম বর্ষপূর্তি তে শুভ কামনা রইলো দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ এর জন্যে।
পুরাতন ছবিটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম ভবন, বর্তমানে এটি প্রশাসনিক ভবন নামে অভিহিত।
সূত্রঃ অনলাইন
Print Friendly, PDF & Email