April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল

ডেস্ক: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন। আপিল বেঞ্চের বাকি তিন সদস্য হলেন— বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান।
এ টি এম আজহারুল ইসলামের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আমরা রায়ের রিভিউ আবেদন করব। আশা করি সে পর্যন্ত রায় কার্যকর হবে না। এরে আগে, রায় ঘোষণা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সুপ্রিমকোর্ট এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালতের মুলফটকসহ আপিল বিভাগের প্রবেশমুখেও মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
একাত্তর সালে হত্যা, গণহত্যা, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোসহ তিন অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির দণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আজহার। এই আপিলের ওপর  উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয় গত ১০ জুলাই। এর পর  মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন আপিল বিভাগ।।
এ টি এম আজহারুলের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে তিনটি অভিযোগে ফাঁসি, দু’টি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং একটি অভিযোগে তাকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
এক নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে সেই অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়। ২, ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ নম্বর অভিযোগে ২৫ বছর এবং ৬ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এ বছরের ১৮ জুন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি খালাস চেয়ে আপিল করেন এ টি এম আজহার। এরপর দীর্ঘ চার বছর পর আপিলের শুনানি শুরু হয়।

Print Friendly, PDF & Email