April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

জাহাজ সংরক্ষণ আইন ২০১৯-এর খসড়া অনুমোদন

ডেস্ক: রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বিদেশি শিপমেন্ট বাড়াতে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সংরক্ষণ) আইন ২০১৯-এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ওই খসড়াটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. শফিউল আলম।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদসচিব সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এ আইনে দেশে আমদানি-রপ্তানির অন্তত ৫০ শতাংশ বিএসসির জাহাজে বহন করা বাধ্যতামূলক করার বিধান প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন আইনটি ‘বাংলাদেশ ফ্ল্যাগ ভেসেলস (প্রটেকশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’-এর স্থলে প্রতিস্থাপিত হবে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট সামরিক শাসনামলের সব অধ্যাদেশকে অবৈধ ঘোষণা করায় নতুন এ আইন করা প্রয়োজন।

মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, ‘এই বিধান রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের কার্যক্রমকে জোরদার করবে।’

মন্ত্রিসভা একই সঙ্গে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে, যা গত ১৫ জানুয়ারি থেকে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর হয়েছে।

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দিয়ে খসড়ার মূলনীতি অনুমোদন করে।

শফিউল আলম বলেন, নতুন সংসদে পাস করানোর জন্য কোনো রকম পরিবর্তন ছাড়াই মূল খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় ইপিজেড শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার এবং ফ্যাক্টরি লক-আউটের অধিকার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইনটিকে অধিকতর শ্রমিকবান্ধব করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কিছু সুপারিশ এবং কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পর্যবেক্ষণ এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গতকালের বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সারাংশ উপস্থাপন করে। ওই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ২৫টি বৈঠকে মন্ত্রিসভা ৩১৩টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সেগুলোর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৭০টি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, একই সময়ে জাতীয় সংসদ ১৯৩টি আইন পাস করেছে এবং সরকার ১০টি অধ্যাদেশ জারি করেছে। অন্যদিকে ২০টি আইনের খসড়াকে আইনে পরিণত করার প্রক্রিয়া চলছে।

Print Friendly, PDF & Email