May 17, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

হলি আর্টিজানে হামলা মামলার স্বাক্ষী ৬ জানুয়ারি

আদালত প্রতিবেদক:

হলি আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার মামলায় আজ রোববার সাক্ষ্য গ্রহন হয়িন। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী আসে নাই। তাই আগামী ৬ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহেনর নতুন দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল এই তারিখ ধার্য করেন। আজ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। সাক্ষী হাজির না হোয়ায় রাষ্ট্রপক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালতদ না মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত ২৬ নভেম্বর এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত ২৩ জুলাই আট জঙ্গির বিরুদ্ধে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর অভিযোগপত্র দেয়। আসামিদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং দু’জন পলাতক রয়েছেন।গত ৮ আগস্ট হলি আর্টিজান মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহন করে পলাতক দুজনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর।
পলাতক দু’জন হলেন- শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন।
এ ছাড়া বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তাদের মধ্যে আটজন বিভিন্ন অভিযানে ও পাঁচজন হলি আর্টিসানেই নিহত হন।
গুলশানের হলি আর্টিসানে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিহত পাঁচ হামলাকারী হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলেন- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তখন তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email