April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

আমরা একদিন মহাকাশে যাবো : প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপন করেছি। একদিন মহাকাশে যাব। আমরা একদিন চাঁদের দেশেও পৌঁছে যাবো। আগে চাঁদের দেশে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। এখন চাঁদে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আজ মহাকাশে। এই স্যাটেলাইটের সুফল আমরা পাওয়া শুরু করেছি। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বকে জানতে পারব। আমাদের ছেলেমেয়েরা মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিমান বাহিনীর প্রধানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ছেলেদের ভালো করে ট্রেনিং দিন। যেন আমাদের ছেলেদেরকে স্পেসে পৌঁছে দিতে পারি।

শেখ হাসিনা বলেন, মুজিব থেকে যাত্রা শুরু করে আমরা আজ সজীব পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির জনকের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠালেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা পরমাণু বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছি। বাংলাদেশ পারমাণবিক ক্লাবের ৩৪ তম সদস্য। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট আমাদের সহায়তা করবে। সমুদ্র গবেষণার জন্য এটা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি শুধু একটি সংবিধানই দেননি সবকিছুতে ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের দেশ স্বাধীন করে দেননি, বরং রাষ্ট্র গড়ে তোলার সকল উপাত্ত ঠিক করে দিয়ে গেছেন। তিনি তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করে গেছেন। আজ তাঁর নাতি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমার বাবা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন আমি চেষ্টা করছি সে স্বপ্ন নিয়ে কাজ করতে। যখনই মানুষ উপকৃত হয় তখনই মনে হয়, আমার বাবা কী দেখতে পাচ্ছেন আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, সভাপতিত্ব করছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

Print Friendly, PDF & Email