April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

তিস্তার পানি কমতে শুরু করলেও বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট ।

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ ০২ জুলাই (সোমবার) লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদী অবস্থিত দেশের বৃহত্তম তিস্তা ব্যারাজ । সেখানে গত কাল উজান থেকে নেমে আসা ও টানা বৃষ্টির কারণে ব্যারাজের উজানে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে দিলে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গীমারী, সির্ন্দুণা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নে বন্যা দেখা দেয় । এতে কয়েক হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পরলেও এখানে মেলেনি বিশুদ্ধ পানি ও খাবার ।
আজ সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের পানি বন্দি পরিবারগুলোর মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। পানি বন্দি পরিবারের মাঝে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়নি।
তিস্তা ব্যারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ানী সুত্র জানাযায়, ভারতের গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দিলে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তার তীববর্তী এলাকায় গত ৩/৪ দিন ধরে বন্যা দেখা দিয়েছে । বন্যা দেখা দিলে ওই এলাকার মানুষ ঘর বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গিয়েছে । পানি গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাতীবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হলে তিস্তার পানিতে হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী চর এলাকার প্রায় ২০ গ্রামের ১১ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়ে । এ সব ইউনিয়নের মধ্য বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গড্ডিমারী, সির্ন্দুনা ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নে ।
 উপজেলার সিন্দুনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরল আমিন জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার পরিবার ২ দিন ধরে পানি বন্দি অবস্থায়। এখন পযর্ন্ত তিনি কোনো সরকারি ত্রাণ বরাদ্দ পায়নি। ত্রাণের জন্য জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে তিনি কথা বলেছেন।
এদিকে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)আমিনুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানি বন্দি পরিবারগুলোর খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।
তিস্তা ব্যরাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (দোয়ানী) নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী জানান, ভারতের গজল ডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ জলকপাট  খুলে দেয়ায় পানি গতি নিয়ন্ত্রণে  তিস্তা ব্যারেজের অধিকাংশ জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
Print Friendly, PDF & Email