ডেস্ক: দেশজুড়ে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যেও চলছে মাদক পাচার ও সরবরাহ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজর এড়াতে অভিনব কায়দায় পেটের মধ্যে করে এনে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে রাজধানীতে। দক্ষিণ খান এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ছয়জনকে গ্রেফতারের পর বের হয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য। এই চক্রে জড়িত আছেন রোহিঙ্গারাও।
রাজধানীর দক্ষিণ খানের গাওয়াইর এলাকার ছয়তলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা এমন খবরে রোববার রোববার (২৭ মে) মধ্যরাতে সেখানে অভিযানে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। বেশকিছু ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয় ছয়জনকে। তবে তাদের কাছে স্কচটেপ মোড়ানো ট্যাবলেট আকৃতির ইয়াবার ছোট ছোট পুঁটলি পেয়ে সন্দেহ হয় ডিবি পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করে পানি দিয়ে ইয়াবার এসব পুঁটলি গিলে ফেলে তারা। একেকটি পুঁটলিতে থাকে ৩০ থেকে ৪০টি ইয়াবা।
রেজোয়ান নামে একজন দুই রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে এসব ইয়াবা দেয়। আর ঢাকায় তা গ্রহণ করে মামুন নামে একজন। আর মামুনের তিন সহযোগী তা ছড়িয়ে দেয় ঢাকার বিভিন্ন স্পটে। এমন অভিনব কায়দায় ইয়াবা পাচারের ঘটনা দেখে হতবাক হয়ে যান গোয়েন্দা সদস্যরাও। রাতেই তাদের নিয়ে আসা হয় গোয়েন্দা হেফাজতে। পরে সোমবার সকালে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে এক্সরে করার পর তাদের পেটে ইয়াবা থাকার কথা নিশ্চিত করেন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পুলিশ সুপার ডা. এমদাদুল হক।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ইয়াবা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার দুই রোহিঙ্গা নাগরিক সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের কারণেই তারা এমন অভিনব কায়দা বেছে নিয়েছে বলেও ধারণা পুলিশের।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা অভিনয় কায়দায় মাদক পাচারের চেষ্টা করছেন।
এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় গোয়েন্দা পুলিশ।
এ বিভাগের আরো..
রায়গঞ্জে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
যমুনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৩ জনের জরিমানা
নওগাঁয় জাল ভোট দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক ২