May 14, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

নলছিটিতে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানি

কামরুল হাসান মুরাদ: অবশেষে নলছিটি প্রশাসনকে ধোকা দিয়ে মাছ লুটে নেয়া সেই ‘ইলিশ খেকো’ জামায়াত নেতা ও দক্ষিণ খাওক্ষীর মেহেদীয়া দাখিল মাদ্রাসার আলোচিত জুনিয়র শিক্ষক আঃ খালেককে বহিস্কার করা হয়েছে। শারিরীক শিক্ষা ক্লাশে বয়ঃসন্ধিকালের উপর আলোচনা করতে গিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ ছাত্রীকে পাশের খালি কক্ষে নিয়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করার দায়ে তদন্ত পূর্বক বহিস্কারের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ছাত্রীটি সহপাটি ও অভিভাবকদের জানালে তার পিতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ আলীর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে উপজেলা জামায়াতের সাথী সদস্য মাদ্রাসা শিক্ষক আঃ খালেককে এ সাময়িক বহিস্কার করেন। তবে বিষয়টি অতি গোপনীয় রাখায় এলাকাবাসীর কাছে ঘটনা কিছুটা বিলম্বে জানাজানি হলেও বর্তমানে এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৯ মার্চ উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ অভিযানে জব্দকৃত ইলিশ মাছ এতিম খানা ও কিছু দুঃস্থদের নামে বিতরণের সময় বৈচন্ডী এলাকার একটি নামধারী এবতেদায়ী মাদরাসার স্বঘোষিত প্রতিষ্ঠাতা সেজে বিতর্কিত শিক্ষক ‘ইলিশ খেকো’ আঃ খালেক ইলিশ মাছ বরাদ্ধ নেয়ার চেস্টা করেন। তাৎক্ষনিক ভাবে খোজ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ‘এই মাদরাসায় কোন আবাসিক ছাত্র নেই’ বলে জানতে পেরে মাছের বরাদ্ধ বাতিল করেন।
সুত্রটি জানায়, নিজ মাদরাসার নামে মাছ বরাদ্ধ নিতে র্ব্যথ হলেও নাছোড়বান্দা মাদ্রাসা শিক্ষক আঃ খালেক ভেঙ্গে পড়েনি বরং কৌশলে দক্ষিণ মগড় আছিয়া খাতুন এতিম খানার প্যাড ব্যবহার করে ৩০ জন আবাসিক ছাত্রের নামে ২০ কেজি ইলিশ মাছ বরাদ্ধ নিতে সক্ষম হয়। বরাদ্ধকৃত সেই ইলিশ মাছের সামান্য কিছু ওই আছিয়া খাতুন এতিমখানায় দিয়ে সিংহভাগই লোপাট করলে বিষয়টি তৎকালীন সময়ে “এতিমের মাছ জামায়াত নেতার পেটে” সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যেও সৃষ্টি হয়।
দক্ষিণ খাওক্ষীর মেহেদীয়া দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মোহাম্মদ আলী খান বলেন, জুনিয়র শিক্ষক আ: খালেককে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কারাদেশের চিঠি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জামায়াত নেতা, ‘ইলিশ খেকো’ ওই মাদ্রাসার জুনিয়র শিক্ষক আ: খালেকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে গত বছর ২৯/৮/১৭ তারিখে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে। তবে ছাত্রীর মা অভিযোগ করলেও পরে আ: খালেক তাদের পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করে সে যাত্রা রক্ষা পান।

Print Friendly, PDF & Email