ডেস্ক: লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি থেকে অবৈধভাবে অর্থ নেওয়ার অভিযোগে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।মঙ্গলবার সারকোজিকে আটক করা হয়।
সারকোজিকে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা আটকে রেখে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারে। এরপর তাকে বিচারকের সামনে হাজির করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হতে পারে।
সারকোজির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের নির্বাচনী প্রচারের জন্য লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ আছে। সেবার নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হন সারকোজি। অবৈধভাবে সারকোজির ওই অর্থ নেওয়ার অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এ তদন্তের আওতায়ই জেরার জন্য তাকে আটক করা হয়।
লিবিয়া সংক্রান্ত অভিযোগে পুলিশ সারকোজিকে এই প্রথম আটক করলো বলে জানিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যম। তবে সারকোজি লিবিয়ার কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ফরাসি বংশোদ্ভূত লিবিয়ার ব্যবসায়ী জিয়াদ তাকিয়েদ্দিনের বরাত দিয়ে ফ্রান্সের একটি ওয়েব সাইটে সারকোজির নির্বাচনী প্রচার শিবিরে গাদ্দাফির অর্থ দেওয়ার খবর প্রকাশের পর ২০১৩ সালে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়।
তাকিয়েদ্দিনের দাবি, তিনি গাদ্দাফির সাবেক গোয়েন্দা প্রধান আব্দুল্লাহ সেনুসির কাছ থেকে ৫০ লাখ ইউরো নিয়ে তা সারকোজির নির্বাচনী প্রচার শিবিরের পরিচালকের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।
ঘটনাটি তদন্তের আওতায় সারকোজি আমলের এক মন্ত্রী এবং তার ঘনিষ্ঠ এক মিত্রকেও পুলিশ মঙ্গলবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
এ বিভাগের আরো..
রাফায় হামলা হলে ইসরায়েলের ‘বিপজ্জনক পরিণতি’ হবে
ইসরায়েল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে: হামাস
শ্রমিক ও গণপ্রবাসীদের সম্মাননায় আল-হারামাইন এর ইফতার মাহফিল।