ডেস্ক : টয়াকে দেখা যাবে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর জনপ্রিয় (ডিমান্ডিং) একজনের চরিত্রে। চিত্রনাট্যের দাবিতে যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করা ছাড়াও এতে টয়া রাতভর নেচেছেন সেখানকার প্রায় দুই শতাধিক মানুষের সামনে। যেটাকে তিনি তার অভিনয় জীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা বলে অভিহিত করছেন।
অভিনয়ের জন্য কতো কিছুই না করতে হয় অভিনেত্রীকে। টয়াকে তেমনই এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়েই যেতে হলো গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে। টানা তিন দিন কাটিয়েছেন সেখানকারই একজন হয়ে।
ঈদের বিশেষ ওয়েব সিরিজ ‘অ্যাডমিশন টেস্ট’। তপু খানের রচনা ও পরিচালনায় এই ওয়েব সিরিজটি নির্মাণ হলো সিএমভি’র ব্যানারে মোশনরকের কারিগরি সহযোগিতায়।
তিনি বলেন, ‘আমার চরিত্রটি হলো অনেক ডিমান্ডিং একজন যৌনকর্মীর চরিত্র। ফলে প্রথম দিন চরিত্রটি নিয়ে কাজ করতে বেশ বিব্রত লাগছিলো। মানে তাদের এক্সপ্রেশন রপ্ত করা বেশ কঠিন ছিলো আমার জন্য। তবে তারচেয়েও ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হলো সেই এলকার শত শত মানুষের সামনে রাতভর নাচতে গিয়ে।’
টয়া আরও বলেন, ‘সেদিন রাতে দৌলতদিয়ার অসংখ্য মানুষের সামনে একটু খোলামেলা পোশাকে অমন আইটেম নাচ নাচতে গিয়ে জীবনটাকে নতুন করে দেখেছি। সেখানে যারা আমার নাচ দেখেছেন তাদের বেশিরভাগই মনে করেছেন আমি সত্যি সত্যি তাদেরই একজন! তাই নাচের ফাঁকে দর্শকদের নানা বাজে কমেন্টও আমাকে শুনতে হয়েছে। সত্যি এটা আমার জীবনের লাইফটাইম এবং ভয়ংকর এক্সপেরিয়েন্স।’
‘অ্যাডমিশন টেস্ট’ নামের এই ওয়েব সিরিজে টয়া ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান, তামিম মৃধা ও জাকি।
সিরিজের গল্পে দেখা যাবে, তিন
যুবক ঢাকার বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রওনা হন। কিন্তু দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছে বাস ধর্মঘটে আটকে যান। পরে সেখানের এক হোটেলে অবস্থান শুরু করেন। যেহেতু পাশেই ‘যৌনপল্লী’ সেহেতু অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য তারা যান সেখানে। সেখানেই তিন বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় ঘটে টয়ার। একের পর এক ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।
নির্মাতা তপু খান জানান, ওয়েব সিরিজটি ঈদের দিন থেকে টানা সাত দিনে সাত পর্ব মুক্তি পাবে যৌথভাবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেল ও রবিস্ক্রিনে, প্রতিদিন রাত ৯টায়।
এ বিভাগের আরো..
বসন্ত আসবে প্রাণের মেলায়
সানবিট ও হারল্যান স্টোরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর পরীমনি
সন্ধ্যায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী