ডেস্ক: উত্তর কোরিয়াতে ১৫ মাস কারাগারে ছিলেন অটো ওয়ার্মবিয়ের। তার মধ্যে এক বছরই তিনি কোমায় ছিলেন।
গত মঙ্গলবার সেই অবস্থাতেই তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া হয়।
এরপর সিনসিনাটির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এর এক সপ্তাহের মধ্যে মারা গেলেন তিনি।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে উত্তর কোরিয়াতে নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি মারা গেছেন।
সংবাদদাতা বারবারা প্লেট আশার ঐ বিবৃতিতে কি আছে সেটি উল্লেখ করছিলেন।
যাতে বলা হয়েছে দেশে আসার পর অটো ওয়ার্মবিয়ের মুখে কিছু বলতে না পারলেও তার চেহারায় কিছুটা হলেও প্রশান্তির আভাস ফুটে উঠেছিলো।
তার বাবা সাংবাদিকদের এর আগে বলেছিলেন “তাকে আটক করে যা করা হয়েছে সেই ভয়াবহ ব্যাপার মেনে নেয়া কঠিন”।
অটো ওয়ার্মবিয়ের বয়স ছিলো ২২ বছর। বন্ধুদের সাথে উত্তর কোরিয়াতে গিয়েছিলেন অবকাশ যাপনে।
সেখানে হোটেলের একটি সাইনবোর্ড চুরি করার অপরাধে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিলো।
সেসময়ই বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হয়।
কিন্তু গত এক বছর ধরে অটো ওয়ার্মবিয়ের কোমায় থাকার বিষয়টি তার পরিবারের কাছেও গোপন রাখা হয়েছিলো।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বচিউলিজম নামের এক অসুখে তার এই অবস্থা হয়েছে।
কিন্তু এই অসুখ কিভাবে হলো তার কোন ব্যাখ্যা নেই। তবে দেশে ফেরার পর চিকিৎসকদের একটি প্যানেল তাকে পরীক্ষার পর মস্তিষ্কে আঘাতের কথা উল্লেখ করেন।
এদিকে এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে একটি নিষ্ঠুর রাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেছেন।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এ বিভাগের আরো..
রাফায় হামলা হলে ইসরায়েলের ‘বিপজ্জনক পরিণতি’ হবে
ইসরায়েল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে: হামাস
শ্রমিক ও গণপ্রবাসীদের সম্মাননায় আল-হারামাইন এর ইফতার মাহফিল।