ডেস্ক: মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যায়যায় দিন পত্রিকার সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার বিরুদ্ধে থাকা ‘চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন তারা। মাদারীপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
এদিকে শহিদুল ইসলামকে নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন।
রবিবার (৯ এপ্রিল) একাধিক জাতীয় দৈনিকে ছবিসহ প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে এই রুল জারি করেন বিচারপতি কাজী রেজা-উল ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র বেঞ্চ। সাংবাদিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার, কালকিনির ইউএনও এবং কালকিনি থানার ওসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কোনও কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুরে কালকিনির পূর্ব এনায়েতনগরে নির্বাচনি প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদল তালুকদারের সমর্থকরা সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। তাৎক্ষণিক থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে কালকিনি থানায় নিয়ে আসে। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছোট ভাই সরোয়ার তালুকদার (৩০) ও নাজমুল খান (১৭) নামে দুইজনকে আটক করা হয়। পরে রাতে চাঁদাবাজির মামলায় শহিদুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে কালকিনি থানা পুলিশ শনিবার সকালে মাদারীপুর আদালতে হাজির করে। আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এ বিভাগের আরো..
শুধুমাত্র নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোকে চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে : আরাফাত
গুজবের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সমাজের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্টিং খুবই প্রয়োজন : তথ্যমন্ত্রী