April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার করতে ভারতের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর আহবান

ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের পাটপণ্য রফতানির উপর ভারত সরকার যে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে, তা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের উচিত বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা। ভারতের প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানির বিপরীতে বাংলাদেশ ভারতে রফতানি করে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। এরমধ্যে পাটপণ্য খুব বেশি নয়।
তিনি বলেন, ভারত অনেক বড় দেশ, বাংলাদেশের পাটপণ্য রফতানির উপর থেকে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার করলে তেমন ক্ষতি হবে না। ভারত বাংলাদেশকে তামাক ও মদ ছাড়া সকল পণ্য ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করলেও বাংলাদেশের পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে শতকরা সাড়ে বার হারে কাউন্টার ভেলিং শুল্ক নিচ্ছে, এখন নতুন করে পাটপণ্য রফতানির উপর প্রায় ৩২৯ মার্কিন ডলার হারে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছে। ভারতের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত ফোরামে আলোচনা করবে। তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ভারত সরকারের কাছে বিষয়টি উপস্থাপনের অনুরোধ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত ভারতের ৬৮তম রিপাবলিক ডে উপলক্ষে “ইউনিটি ইন ডাইভারসিটি ইন ইন্ডিয়া” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার এবং ভারতের জনগণ বাংলাদেশের মানুষকে সবধরনের সহযোগিতা করেছে। যা ভুলে যাবার মতো নয়।
তিনি বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত হয়েছে, পানি বন্টন চুক্তি হয়েছে। দ্বি-পাক্ষিক সকল সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরের আগে ১২ মার্চ সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেন। ভারতের কাছ থেকে ১০০ কোটি রুপি ঋণগ্রহণ করে কাজ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর দু‘টি স্বপ্ন ছিল-একটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, অপরটি হলো দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, আজ তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সফল ভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। দেশের ৫০ বছর পূর্তিতে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংরাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধণ শ্রিংলা, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হক বাবু এবং সমিতির মহাসচিব সুবির কুশারি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।

সূত্র: বাসস

 

Print Friendly, PDF & Email