May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

মুফতি হান্নানের আপিল শুনানি শুরু

আদালত প্রতিবেদক : দেড় দশকের বেশি সময় আগে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় হত্যা মামলায় মুফতি হান্নানসহ আট আসামির ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।
রবিবার (০৮ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আপিল শুনানি শুরু হয়।
এদিন পেপার বুক উপস্থাপনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ শুনানি শুরু করেন। পেপারবুকে মামলার এজাহার, অভিযোগপত্র, বিচারিক আদালতের রায়সহ পূর্ণাঙ্গ বৃত্তান্ত থাকে।
২০০১ সালে রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা মেরে হত্যা করা হয় ১০ জনকে। হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে এই মামলায় আসামি করা হয়। হামলার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন রায় দেন। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
মুফতি হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্যরা হলেন আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মো. তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমান। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখ ফরিদ, আব্দুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহের।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, পেপারবুকের তথ্য অনুসারে ১৪ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি এখনো পলাতক। তাঁরা হলেন তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, আবু বকর, শফিকুর ও আবদুল হাই।
রাষ্ট্রপক্ষের তথ্য অনুসারে, আসামিদের ডেথ রেফারেন্সের সঙ্গে সাতজনের করা ছয়টি আপিলের শুনানি হবে। এর মধ্যে মুফতি হান্নান, আকবর হোসেন, সুমন, শাহদাত উল্লাহ ও আবু তাহের পৃথক আপিল করেছেন। তবে শেখ ফরিদ ও মো. ইয়াহিয়া দুজন মিলে করেছেন একটি আপিল। সঙ্গে রয়েছে মুফতি হান্নান, আকবর হোসেন ও সুমনের জেল আপিল।
রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই ৯ জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন।
এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। ঘটনার প্রায় আট বছর পর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলার অষ্টম তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা মো. ইউসুফ ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এর মধ্যে বিচারিক আদালতে হত্যা মামলায় রায় হলেও বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলাটি এখনো বিচারাধীন।

Print Friendly, PDF & Email