May 17, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের ঢল

ডেস্ক :  খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন সাপ্তাহিক ছুটি ও ডিসেম্বরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের অবকাশে রাঙ্গামাটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। গত শুক্রবার থেকে রাঙ্গামাটিতে দলে দলে আসতে শুরু করে পর্যটক। অতিরিক্ত পর্যটক আসায় রাঙ্গামাটিতে আবাসন ও যানবাহন সংকটে পড়ে দুর্ভোগে পড়েছেন পর্যটকরা।
পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত তিন দিনে রাঙ্গামাটিতে অর্ধলক্ষাধিক পর্যটক এসেছে। অনেকে ব্যক্তিগত পরিবহনে করে আসলেও অধিকাংশ পর্যটক এসেছে সাধারণ যাত্রীবাহী বাসে। ঢাকা-রাঙ্গামাটি ও ঢাকা-চট্টগ্রামের যাত্রীবাহী বাসে টিকেট আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় অনেক পর্যটক রাঙ্গামাটি আসতে পারেনি। আবার যারা এসেছে তারা আবার ফিরতি টিকেট না পেয়ে ফিরে যেতে দুর্ভোগে পড়েছেন।

রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের এর চিত্র ফলাফল
আবাসিক হোটেল মালিকরা জানান, টানা ছুটি উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাঙ্গামাটির আবাসিক হোটেলগুলোর ৭০ শতাংশ সিট আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এ কারণে রাঙ্গামাটিতে ছুটে আসা অতিরিক্ত পর্যটকদের হোটেলে সিট না পেয়ে দিনে দিনেই ফিরে যেতে হয়েছে। দিনে দিনে ফিরতে গিয়ে তারা মুখোমুখি হয়েছেন পরিবহন সংকটে।
রাঙ্গামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক নেছার আহমদ জানান, রাঙ্গামাটির আবাসিক হোটেলগুলো সর্বসাকুল্যে ধারণ ক্ষমতা ৪হাজার মানুষের। কিন্তু রাঙ্গামাটিতে প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার পর্যটক আসছেন। এ অবস্থ্য়া অতিরিক্ত পর্যটকরা রাঙ্গামাটি বেড়াতে এসে বিপাকে পড়েছেন। তিনি জানান, বাসে টিকেট ও হোটেলের সিট না পাওয়ায় রাঙ্গামাটিতে অনেক পর্যটক আসেনি। এ কারণে অনেকে সফর সুচিও পরিবর্তন করেছেন।
রাঙ্গামাটি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটি-ঢাকা রুটে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাসগুলোর সব টিকেট কয়েকদিন আগেই বুকিং হয়ে গেছে। তাই পর্যটকদের বাড়তি চাপের কারণে সন্ধ্যার পরে অতিরিক্ত বাস ছাড়তে হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে শহরের পর্যটন কেন্দ্র আবাসিক হোটেল বাস টার্মিনালগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। কাপ্তাই হ্রদের টুরিস্ট বোট চালক, শহরের অটোরিক্সা চালক, পাহাড়িদের বস্ত্র বিতান ও হোটেল রেস্টুরেন্টগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে সকলেই।

সূত্র : বাসস

Print Friendly, PDF & Email