আদালত প্রতিবেদক : রাজধানীর পল্লবীতে আনিস হত্যা মামলায় দুই কসাইয়কে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকারা ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সর্দার বুধবার এ রায় দেন। দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও ২০ হাজার টাকার করে জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, সমশের ও মো. লালু। এর মধ্যে লালু বর্তমানে পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মো. মাহফুজুর রহমান লিখন বলেন, রায় ঘোষণার সময় সমশেরকে কারাগারা থেকে আদালতে হাজিরা করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দুই কসাই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আনিসকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন সেটের আনিসকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনার দিনই আনিসের বড় ভাই মো. ওমর ফারুক দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মহানগর হাকিম আদালতে। ২৬ এপিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এই মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘এই মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পেশায় কসাই ছিল বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছে। কসাইরা যেভাবে পশু জবাই করে এ নপিশাচ আসামিদ্বয় ঠিক তেমনভাবে একটি মোবাইল ফোনের জন্য আনিসকে গলাকেটে হত্যা করে। আসামিদ্বয়ের বয়স, পেশা ও সামাজিক মর্যাদা যা-ই থাকুক না কেন এই পৃথিবীতে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই। মৃত্যুদণ্ডই তাদের প্রাপ্য। বতর্মানে একের পর এক নৃশংস ও খুনের ঘটনা ঘটছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে এই মামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এই ধরনের নির্মম, নৃশংস ও অগ্রণযোগ্য ভয়ঙ্কর অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।’
এ বিভাগের আরো..
বিচারক-আইনজীবীদের কালো কোট-গাউন পরতে বাধ্যবাধকতা নেই।
ঝিনাইদহে কৃষক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন ও ৩ জনের সশ্রম কারাদন্ড
হাইকোর্টের আদেশ আপিলে স্থগিত, রমজানে স্কুল খোলা