ডেস্ক : ‘অজয় রায় আমার বাবার বন্ধু ছিলেন। আমরা বিভিন্ন সময় নানা পরামর্শের জন্য যেতাম। রাজনৈতিকভাবে উনার কাছে আমি অনকে কিছু শিখেছি। কোন কিছু জানতে হলে স্বাধীনতার আগে ও পরে আমি তার কাছে গিয়েছি।’
বুধবার (১৯ অক্টোবর) শহীদ মিনারে অজয় রায়ের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ সব কথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, অজয় রায় অমায়িক, দয়ালু এবং একজন শিক্ষিত মানুষ ছিলেন। উনি অন্য দল করলেও উনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিল অনেক গভীর। আমার জন্মের পর পর থেকে উনাকে দেখে আসছি।
তিনি বলতেন, ‘আশরাফ, যদি রাজনীতি করো তবে দুর্নীতি করো না, যদি দুর্নীতি করো তবে রাজনীতি ছেড়ে দাও।’
আশরাফ বলেন, ১৯৬৯ সালে তিনি যখন জেলাখানায় তখন আমি ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার মুক্তির দাবিতে মিছিল করে জেলখানায় যাই। জেলখানার চার তলায় দাঁড়িয়ে বাংলার মুক্তির সংগ্রামের কথা বলেছিলেন তিনি। আমরা কয়েকশ’ নেতাকর্মী সেই বক্তব্য শুনে উদ্বুদ্ধ হয়েছি। বক্তব্যের তীক্ষ্ণতা এতই বেশি ছিল যে, এক ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তান সরকার তাকে জেল থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। তারপর উনাকে নিয়ে আমরা মিছিল করেছি পুরা শহরে। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে সব আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হিসেবে অজয় রায় গত শতকে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও সংগঠকের ভূমিকায় ছিলেন তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিম মাহমুদ চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা শফী আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিভাগের আরো..
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভা কাল
অধ্যক্ষ জীবুন নিছাকে সংরক্ষিত আসনে এমপি হিসেবে পেতে চায় টাঙ্গাইলবাসী