May 17, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

বৃহদাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে রিজার্ভ ব্যবহার সমর্থন করেন অর্থনীতিবিদেরা

ডেস্ক : বৃহদাকার অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহারে সরকারের উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন অর্থনীতিবিদরা। অলস পড়ে থাকা রিজার্ভের অর্থ ব্যবহারের জন্য সতর্কতার সাথে একটি নীতিমালা প্রনয়নেরও পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ রয়েছে ৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাসস-এর সাথে আলাপকালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপাক্ষ পাল বলেন, বৃহদাকার বিশেষত অবকাঠামো খাতের প্রকল্প বাস্তবায়নে রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার অর্থনীতির জন্য একটি ভালো উদ্যোগ।
অর্থনীতিবিদরা বলেন, প্রথমেই সতর্কতার সাথে সরকারের একটি নীতি প্রনয়ন করা প্রয়োজন যাতে রিজার্ভ থেকে ঋন গ্রহণ, সুদের হার এবং তা ফেরত দেওয়ার সময়সীমা প্রভৃতি উল্লেখ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রদত্ত তথ্যানুসারে, গত ২ সেপ্টেম্বর মোট রিজার্ভের পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা দিয়ে আগামি ৯ মাসের আমদানি খরচ মেটানো সম্ভব।
এ ব্যাপারে মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা একটি ভালো উদ্যোগ। কেননা বিশাল পরিমাণ অর্থ অলস পড়ে আছে এবং সরকার যদি উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে এই টাকা ব্যবহার করে, তাহলে ব্যয়বহুল বিদেশী সহায়তা নিতে হবে না।’
তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য দেশের বিনিয়োগ প্রয়োজন হয় এবং সরকার যদি রিজার্ভ থেকে এ ক্ষেত্রে ঋন গ্রহন করে তাহলে সেটা অর্থনীতির জন্য ভালো হবে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৃহদাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার সমর্থন করেন এবং এক্ষেত্রে ঋনের অঙ্ক, সুদের হার, পরিশোধের সময়সীমার ব্যাপারে সকর্ততার পরিকল্পনা প্রনয়নের পরামর্শ দেন।
ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা একটি ভালো উদ্যোগ।’ তিনি বলেন, সরকার যদি বিনিয়োগের জন্য রিজার্ভ থেকে ঋন নেয় তাহলে সেটা অর্থনীতির জন্য ভালো হবে।
ড. মুস্তাফিজুর রহমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহারের লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা প্রনয়নের জন্য সরকারকে পরামর্শ দেন।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরুপাক্ষ পাল বলেন, ‘এটা হচ্ছে এরকম- কোন রকম মেদ না কমিয়ে আমরা মোটা হচ্ছি।’ তিনি বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট-এর চেয়েও বেশি বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, আর এতে আমদানির খরচও বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, রিজার্ভের একটি অংশ যদি মেট্রোরেল নির্মানের মতো বৃহদাকার প্রকল্পে ব্যয় হয়, তাহলে আমদানি বাড়বে। কেননা এর জন্য দেশে নির্মান সামগ্রি আমদানি করতে হবে।

সূত্র: বাসস

Print Friendly, PDF & Email