April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

রায় ফাঁস মামলায় সাকার স্ত্রী-পুত্র বেকসুর খালাস

আদালত প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) রায় ফাঁস মামলায় স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া আসামি পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অন্য আসামিদের সাত বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগপত্রের অন্য আসামিরা হলেন- সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ম্যানেজার এ কে এম মাহবুবুল হাসান, জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী (সাঁটলিপিকার) ফারুক হোসেন ও পরিচ্ছন্নকর্মী নয়ন আলী।
রায়ে আদালত উল্লেখ করেন, যে কারনে রায় ফাঁস করা হয়েছে তাতে বেনিফিসিয়ারি (সুবিধাভোগী) না হওয়ায় ফারহাত চৌধুরী ও হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে খালাস দেয়া হয়েছে। কেননা, যার জন্য রায় ফাঁস করা সেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।
সরকার পক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে চুরি করে সাইবার লিংক বি নামক ওয়েব সাইটে পাচার করেন সে কারনে এই পাচার সংশ্লিষ্ট ধারায় সাজা হয়েছে। যেহেতু বেনিফিসিয়ারি সর্বোচ্চ সাজায় মৃত্যুবরণ করেছেন সেহেতু তার স্ত্রী ও ছেলে আদালতের বিবেচনায় খালাস পেয়েছেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সামসুল আলম। মামলায় বিভিন্ন সময়ে ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্যপ্রদান করেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে তার আগেই সালাউদ্দিনের স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের খসড়া কপি সংবাদকর্মীদের দেখান।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ৪ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুর রহমান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।
২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক শাহজাহান সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Print Friendly, PDF & Email