আদালত প্রতিবেদক : বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় ১০ আগস্ট আদালতে হাজিরা দেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রোববার ঢাকার বিশেষ জজ-২ এর বিচারক হোসনে আরা বেগমের আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ দিন ধার্য করেন।
আজ এ মামলায় খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেয়ার পূর্ব ধার্য দিন ছিল। নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ১০ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
ওইদিন নাইকো দুর্নীতি মামলায়ও খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দেবেন বলে জানান তার আইনজীবী।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), সাবেক স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী (মৃত), সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম (মৃত), আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
খালেদা জিয়া মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেওয়া হয়। হাই কোর্টের ওই আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকায় আটকে যায় বিচার।
সাত বছর পর ২০১৫ সালের শুরুতে দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নিলে হাই কোর্টের দেওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাই কোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে রায় দেয়। পাশাপাশি মামলার ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশও তুলে নেয়া হয়।
চলতি বছরের ২৫ মে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ দিন আটকে থাকা এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম আবার শুরু হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারিক আদালতকে দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়।
এরপর ১২ জুন জজ আদালতের বিচারক হোসনে আরা বেগম খালেদাসহ আসামিদের ২৪ জুলাই আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা ২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি এ মামলায় স্থায়ী জামিন পান।
এ বিভাগের আরো..
বিচারক-আইনজীবীদের কালো কোট-গাউন পরতে বাধ্যবাধকতা নেই।
ঝিনাইদহে কৃষক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন ও ৩ জনের সশ্রম কারাদন্ড
হাইকোর্টের আদেশ আপিলে স্থগিত, রমজানে স্কুল খোলা