May 19, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

তুরস্কে আটকা পড়েছেন মিমি

ডেস্ক :  তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনার মধ্যে আটকা পড়েছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সেখানে শুটিং করতে গিয়ে তার সঙ্গে আটকা আছেন অভিনেতা যশ, গৌরব এবং পরিচালক বিরশা দাশগুপ্ত।

পরবর্তী ছবির শুটিংয়ে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে গিয়েছিলেন এই অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। একই ছবির জন্য তুরস্কে গিয়ে আটকে পড়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এখন সুরক্ষিত আছেন বিরশাসহ ছবির কলাকুশলীরা। তবে শুটিংয়ের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ। আপাতত শহরের একটি হোটেলে রয়েছে পুরো টিম।

কলকাতার একটি গণমাধ্যমকে তুরস্ক থেকে বিরশা জানান, ছবির ইউনিটের সবাই নিরাপদে আছেন। শুক্রবার রাতে তুর্কি এবং ভারতীয় ক্রু একসঙ্গেই ছিলেন। ভোর ৫টা নাগাদ ঘুমাতে গেছেন তারা। স্থানীয় সময় বেলা ১১টা থেকে শুটিং শুরু হওয়ার কথা। তবে তার আগে বেলা ১০টায় সবাই মিলে একটি মিটিংয়ে বসবেন। তখনই পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে খবর পেয়ে তাদের দেশে ফেরানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে রাজ্যের সচিবালয় নবান্ন সূত্রে।

অবশ্য তুরস্কে অবস্থিত ভারতীয়দের এ ঘটনার পরপরই সতর্ক করে দেয়া হয়। রাস্তা বা জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা। বাড়ির বাইরে না আসার কথাও জানিয়েছেন তারা। যোগাযোগের জন্য আপদকালীন ফোন নম্বরও দেয়া হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বলেছেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয়দের বাড়ির ভেতরেই থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’

তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর শনিবার দেশটিতে ভারপ্রাপ্ত নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় লিপ্ত প্রায় ৫০ সেনা আত্মসমর্পণ করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, তুরস্কে শুক্রবার রাত থেকে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা শুরু হয়। আঙ্কারার বাইরে পুলিশের বিশেষ বাহিনীর সদর দফতরে হেলিকপ্টার হামলা চালায় সেনারা। এতে কমপক্ষে দেশটির ১৭ সেনা সদস্য নিহত হয়। তবে অভ্যুত্থান চেষ্টায় সরকার ও বিদ্রোহী পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। এদের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ।

Print Friendly, PDF & Email