ডেস্কঃ সন্ত্রাসবাদকে কঠোর হাতে দমনের অঙ্গীকার করেছেন সৌদি বাদশা সালমান বিন আব্দুল্লাহ আল সৌদ। মঙ্গলবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই প্রত্যয়ের কথা জানান। আল আরবিয়া খবরটি নিশ্চিত করেছে।
সৌদি আরবে সোমবার দুইটি শহরে ব্যর্থ হামলার পর মদিনায় পরিচালিত হামলায় সফলতা পায় আত্মঘাতী হামলাকারী। জেদ্দা এবং কাতিফ শহরের হামলায় কেবল হামলাকারীরাই নিহত হন। মদিনার হামলায় হামলকারীসহ নিহত হন ৫জন। সবমিলে এ পর্যন্ত ওই ৭ জনের প্রাণহানির খবর জানা গেছে। এখনও কেউ হামলার দায় স্বীকার না করলেও এ ঘ্টনায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসকে সন্দেহ করা হচ্ছে। হামলায় পাকিস্তানি এক নাগরিকের জড়িত থাকার কথা জানিয়েছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সৌদি রাজ পরিবার মনে করে, মুসলমানদের পবিত্র দুই ধর্মীয় স্থান মক্কা ও মদিনার রক্ষক তারাই। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সৌদি বাদশা মনে করেন, জঙ্গিবাদ ও বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড তরুণদের অস্বাভাবিক আচরণ ও চর্চায় প্ররোচিত করে। তিনি বলেন, ‘ইসলামি দেশগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জঙ্গিবাদ ও বিদ্বেষমূলল কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মুসলিম তরুণদের জন্য প্রকৃত সমৃদ্ধি ও আশাবাদী ভবিষ্যতের পথ করে দেওয়া।’
তিনি হুঁশিয়ার করেন, কেউ সৌদি তরুণদের মনন-চিন্তা-প্রবৃত্তিকে টার্গেট করে জঙ্গি মনোভাবে উদ্ধুব্ধ করার চেষ্টা করলে তাকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
উল্লেখ্য, ৩ সৌদি শহরে হামলার প্রথমটি সংঘটিত হয় জেদ্দায়। দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সৌদি শহরে যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলেটের কাছে বিস্ফোরণে এক আত্মঘাতী নিহত এবং দুজন নিরাপত্তাকর্মী আহত হন। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হামলাকারীকে পাকিস্তানি নাগরিক আব্দুল্লাহ কালাজার খান বলে দাবি করা হয়। কাতিফ শহরে শিয়া মসজিদে সংঘটিত দ্বিতীয় হামলায় কেবল আত্মঘাতী হামলাকারীই নিহত হয়। আর মদিনায় মহানবী (সা.) এর মসজিদ হিসেবে খ্যাত মসজিদে নববীর কাছে সংঘটিত হামলায় হামলাকারীসহ ৪ নিরাপত্তারক্ষী নিহত হন। সূত্র: আল আরবিয়া, আলজাজিরা
এ বিভাগের আরো..
রাফায় হামলা হলে ইসরায়েলের ‘বিপজ্জনক পরিণতি’ হবে
ইসরায়েল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে: হামাস
শ্রমিক ও গণপ্রবাসীদের সম্মাননায় আল-হারামাইন এর ইফতার মাহফিল।