May 14, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

কলকাতায় ‘মামুনুর রশীদ : থিয়েটারের পথে’র প্রকাশনা উৎসব

ডেস্ক প্রতিবেদন : বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের জীবন-কর্ম-শিল্প নিয়ে প্রকাশিত ‘মামুনুর রশীদ : থিয়েটারের পথে’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব হয়ে গেল কলকাতায়।

গত ২৭ মে কলকাতার স্প্রিং ক্লাবে লুক ইস্ট মিডিয়া ও বাংলা স্ট্রিটের আয়োজনে বাংলাদেশের প্রকাশনা সংস্থা বাঙলা পাবলিকেশন্সের এই প্রকাশনাটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

মামুনুর রশীদ থিয়েটারের পথে বইটি দ্বিভাষিক। ফয়েজ জহির ও হাসান শাহরিয়ার রচিত বইয়ের ইংরেজি অনুবাদ করেছেন শহিদুল মামুন। লেখকদ্বয় ও অনুবাদক তাদের বক্তব্যে বলেন, তাদের এই লেখা মামুনুর রশীদের কর্মময় জীবনের সবটুকু হয়তো জানাতে পারবে না, কিন্তু তাঁকে বিশেষভাবে জানার আগ্রহটা তৈরি করবে নিঃসন্দেহে।

mamun

অরুণ মুখোপাধ্যায় মামুনুর রশীদের বন্ধুত্বের গভীরতা, থিয়েটারের প্রতি তাঁর নিবেদনের কথা তুলে ধরেন।

বিভাস চক্রবর্তী বাংলাদেশে নিজের নাট্যঅভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি মামুনুর রশীদের সাথে অসংখ্য আড্ডার কথা ব্যক্ত করেন।

মনোজ মিত্র বলেন, ‘বাংলাদেশের থিয়েটার অঙ্গনে মামুনুর রশীদ একেবারেই অনন্য এক নাট্যকার।’ বিশেষ করে নাট্যকার-নির্দেশক-অভিনেতার পাশাপাশি রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার বিষয়টিকে তিনি গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেন।

আশিষ গোস্বামী মামুনুর রশীদের সাথে পরিচয় ও সেই সুবাদে আরণ্যক নাট্যদলের সাথে তার সান্নিধ্যের কথা উল্লেখ করেন। আরণ্যক নাট্যদলের ইতিহাস ও নাট্যচর্চা নিয়ে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত বইয়ের কথাও তিনি বলেন।

mamun

মামুনুর রশীদ তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘এখানে আমার বলার কিছু নেই। লেখকদ্বয় আমাকে যতটুকু জেনেছে, যতটুকু চিনেছে, ততটুকুই সবার সাথে ভাগ করে নিতে চেয়েছে। আমাকে সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজটুকু করার জন্য লেখকদ্বয়, অনুবাদক ও প্রকাশককে আমি আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি’।

প্রকাশক আদিব রশীদ মামুন বইয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট ডিজাইনার ও অন্যান্য শিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এরপর তিনি বলেন, ‘এই বই দিয়ে তার প্রকাশনা সংস্থার যাত্রা শুরু হলো’। ওপার বাংলার সহযোগিতা নিয়ে সেখানকার নাট্যব্যক্তিত্বদের উপর এ ধরনের বই প্রকাশে তার আগ্রহের কথাও তিনি জানান।

প্রকাশনা উৎসবে আরও উপস্থিত ছিলেন পবিত্র সরকার ও বাংলা স্ট্রিটের সম্পাদক আশিষ পণ্ডিত। আনন্দঘন পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অংশুমান ভৌমিক ও সুবীর মণ্ডল।

Print Friendly, PDF & Email