April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

বাঙালির শাশ্বত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব  প্রতিবেদক : ‘আবহমান বাঙালির এ উৎসবে নতুন মাত্রা দিতে আমরা দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে উৎসবভাতা প্রবর্তন করেছি। বাঙালির শাশ্বত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। ‘বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে এক শুভেচ্ছা বাণীতে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন―

বাংলা নববর্ষের এই শুভক্ষণে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ নববর্ষ।

চৈত্রের অবসানে নতুনের বার্তা নিয়ে আমাদের জীবনে বৈশাখের আগমনী সুর বেজে ওঠে। নববর্ষ মানেই নতুন আশায় উদ্দীপ্ত হওয়ার দিন। আমাদের লেখক, কবি, শিল্পীদের ছন্দ, বর্ণ, তুলি ও সুরে বাংলা নববর্ষ প্রতিবছর নতুন রূপে হাজির হয়। পহেলা বৈশাখ থেকে দেশের নানা স্থানে শুরু হয় বৈশাখী মেলা ও আড়ংসহ নানা আয়োজন; যা বিনোদনের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে আনে নতুন গতি। তাই বাংলা নববর্ষ আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির এক বর্ণাঢ্য উৎসব ও অনন্য উৎসবিন্দু। বাঙালির সার্বজনীন উৎসব নববর্ষকে আমরা আবাহন করি প্রাণের স্পন্দনে, গানে-কবিতায়, আবেগের উত্তাপে।

আবহমান বাঙালির এ উৎসবে নতুন মাত্রা দিতে আমরা দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখে উৎসবভাতা প্রবর্তন করেছি। বাঙালির শাশ্বত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয়তাবোধ ও চেতনাকে শাণিত করে। বর্ষবরণের উৎসবে এ চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য স্বাধীনতার আগে ও পরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। আঘাত করা হয়েছে বার বার। বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। ধর্মান্ধ, সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো অপচেষ্টাই সফল হয়নি। বাঙালি জাতি নববর্ষকে ধারণ করেছে তাদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হিসেবে।

আমি আশা করি, পহেলা বৈশাখে বাঙালি সংস্কৃতির এ চর্চা আমাদের জাতিসত্তাকে আরও বিকশিত করবে। সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি জোগাবে। রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, আগুনে পুড়িয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা ও দেশের সম্পদ ধ্বংসকারী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদেরকে আরও ঐক্যবদ্ধ করবে।

দেশব্যাপী বৈশাখী মেলা, চৈত্রসংক্রান্তির পালা-পার্বণ, নববর্ষের প্রতিটি মিছিল-শোভাযাত্রা পরিণত হোক মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, অন্যায়-অবিচার, শোষণ-বৈষম্য এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামের হাতিয়ারে। ১৪২৩ সন সকল জরা ও গ্লানি মুছে দিয়ে বাঙালির জীবনে বয়ে আনুক সুখ, সমৃদ্ধি ও অনাবিল আনন্দ―এই প্রত্যাশা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

Print Friendly, PDF & Email