ডেস্ক : হাসপাতালের চিকিৎসক সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন— মারা গিয়েছে সদ্যোজাত শিশুটি। বাড়ি ফিরে শোকস্তব্ধ পরিবারটি কবর দিতেও নিয়ে গিয়েছিল। আচমকাই তার পা যেন ঈষৎ নড়ে উঠল। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর জেলার। শিশুটি নড়ে ওঠার সঙ্গেই যেন নড়ে উঠল কৃষ্ণনগরের বাগমারা-বহিরগাছি গ্রাম।
ফের হাসপাতাল, হইচই— তবে কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা নির্বিকার গলায় জানালেন, এমনটা হতেই পারে। তা নিয়ে হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আগেই বেগতিক বুঝে শিশুটিকে ভর্তি করা হয় । শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত জানা গেছে, বেঁচে রয়েছে শিশুটি।খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বুলবুলি মণ্ডল। এ দিন ভোরে জন্ম দেন ওই পুত্রসন্তানের। তবে প্রসবের কিছুক্ষণের মধ্যেই নার্সরা এসে বুলবুলির পরিবারকে জানিয়ে দেন দুঃসংবাদ— শিশুটি মারা গেছে।
নিয়ম মেনে ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই তুলো আর লিউকোপ্লাস্টে জড়ানো ‘মৃত’ শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় মণ্ডল পরিবারের হাতে। শোকস্তব্ধ পরিজনেরা নাইলনের ব্যাগে ‘মরা ছেলে’ নিয়ে ফিরে এসেছিলেন বাড়িতে।
চিকিৎসক বলেন, সদ্যোজাতকে পরীক্ষা করে কোনো হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার লক্ষণ দেখেননি। তবে যেভাবে শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা যে নিয়মবিরুদ্ধ, তা তিনিও বলছেন।
এ বিভাগের আরো..
রাফায় হামলা হলে ইসরায়েলের ‘বিপজ্জনক পরিণতি’ হবে
ইসরায়েল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে: হামাস
শ্রমিক ও গণপ্রবাসীদের সম্মাননায় আল-হারামাইন এর ইফতার মাহফিল।