আদালত প্রতিবেদক : ঋণখেলাপি হিসেবে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এ বিষয়ে প্রতিকারের লক্ষ্যে নির্বাচনপরবর্তী নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ড. মুহাম্মদ ইয়াসীন খান।
আইনজীবী মুহাম্মদ ইয়াসীন খান সাংবাদিকদের জানান, সুপ্রীম কোর্টের বিভিন্ন রায়ের রেফারেন্স টেনে হাইকোর্ট কাদের সিদ্দিকীর করা আবেদন খারিজ করেছেন। এ ছাড়া নির্বাচনের প্রার্থিতার বিষয়ে বৈধতা নিয়ে ইসি ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ঋণখেলাপি বিবেচনায় রিটার্নিং অফিসার উনার (কাদের সিদ্দিকী) মনোনয়ন বাতিল করেন। এরপর উনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে ঋণখেলাপি হিসেবে তার মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে ইসি। কাদের সিদ্দিকী ইসির এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট তার মনোনয়ন গ্রহণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে ইসি। ইসির করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জানুয়ারি মূল রিটের শুনানি করা হয়। শুনানিতে আমরা বলেছি, ‘উনি (কাদের সিদ্দিকী) আসলে ঋণখেলাপি। ঋণখেলাপি হিসেবে উনি (কাদের সিদ্দিকী) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’
বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশে ভোটাররা ভোট দিতে পারে না। তারা যাতে ভোট দিতে পারে সে জন্যই আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। তবে ইসি আমার বিপক্ষে কাজ করেছে। আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
কাদের সিদ্দিকীর আইনজীবী রাগিব রৌফ সাংবাদিকদের জানান, ঋণখেলাপি বিবেচনায় তার (কাদের সিদ্দিকী) মনোনয়ন বাতিল করা হয়। যেহেতু ওই ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে, সেহেতু তিনি ঋণখেলাপি নন। এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি আদালত। শুধু মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল প্রতিকার করতে পারে বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে একই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন এ আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
অন্য দলের পাশাপাশি এতে কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে কাদের সিদ্দিকী ও তার স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু ঋণখেলাপির অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।
গত বছর টাঙ্গাইল-৮ (সখিপুর) আসনের উপ-নির্বাচনেও প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী। ওই সময়ও ঋণখেলাপির অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
এ বিভাগের আরো..
বিচারক-আইনজীবীদের কালো কোট-গাউন পরতে বাধ্যবাধকতা নেই।
ঝিনাইদহে কৃষক হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন ও ৩ জনের সশ্রম কারাদন্ড
হাইকোর্টের আদেশ আপিলে স্থগিত, রমজানে স্কুল খোলা