May 16, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

বাজারে শীতের সবজি, কমছে দাম

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : শীতের দেখা মিলতে এখনও প্রায় দেড় মাস থেকে দুই মাস বাকি। তার আগেই বাজারে মিলছে রবি মৌসুমের সবজির। ফলে ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে প্রায় সব সবজির দাম। কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম। তবে যেন ঝাঁজ কমছে না কাঁচা মরিচের। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ আশে-পাশের বেশকিছু খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।

বাজারে নতুন আসা শীতকালীন সবজির মধ্যে বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ২৫ থেকে ৩০ টাকা; যার আকার অত্যন্ত ছোট। সিম ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। লালশাক প্রতি আটি ১৫ টাকা এবং কলমি শাক প্রতি আটি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম সম্পর্কে বিক্রেতা সুরুজ আলী অর্থসূচককে বলেন, ‘খরার জইন্যে সবজির দাম কমতাছে। এছারা শীতকালের সবজিও বাজারে আসতাছে। আর কিছু দিনের মইদ্যে সবজির দাম আরও কইম্বো।”

গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে দেশি ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ও পকিস্তানি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিপ্রতি।

এছাড়া পাইকারী বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি পাল্লা(৫কেজি) ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা; গত সপ্তাহে যা ছিল পাল্লাপ্রতি ৩৮০ থেকে ৩৯০ টাকা। তবে বাজারভেদে ৪ থেকে ৫ টাকা কম বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা, আদা ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আলু ২৫ টাকা কেজিপ্রতি।

অন্যদিকে, ঝাঁজ কমছে না কাঁচা মরিচের। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিপ্রতি। এ বিষয়ে বিক্রেতারা জানান, কয়েকদিন আগের বৃষ্টির পানিতে অনেক এলাকায় ক্ষেতের মরিচ পচে গেছে। তাই মরিচের দাম কমছে না।

অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে মসুর ডাল কেজিপ্রতি ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ভোজ্য তেলের মধ্যে তীর বিক্রি হচ্ছে (৫ লিটার) ৪৬৫ টাকা, পুষ্টি (৫ লিটার) ৪৬০ টাকা, রুপচাঁদা (৫ লিটার) ৪৮০ টাকা।

স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। চালের মধ্যে চিনিগুড়া বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৭০ থেকে ৭২ টাকা, মিনিকেট ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, নাজিরশাইল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, আটাশ ৩৩ থেকে ৩৬ টাকা।
মাছের মধ্যে মাঝারি আকারের ইলিশের জোড়া ১ হাজার ৯০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। রুই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কই মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা।

হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে হালিপ্রতি ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, মুরগির ডিম ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস প্রতিকেজি ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা, খাসি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা, ব্রয়লাম মুরগি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email