May 15, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

নতুন ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচক ইতিবাচক

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : খেলাপী ঋণ, আমানত, শাখার সংখ্যাসহ অধিকাংশ আর্থিক সূচক ইতিবাচক ধারায় রয়েছে বেসরকারি খাতের নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর। এসব ব্যাংকের আমানত ও শাখার সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি খেলাপী ঋণের অবস্থা ভালো অবস্থায় রয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স দেওয়ার সময় একটা উদ্বেগ ছিল। ব্যাংক খাতে অশুভ প্রতিযোগিতা তৈরি হয় কি-না। কিন্তু ব্যাংক খাতে আমানতের হার ইঙ্গিত দেয় তেমনটি তৈরি হয়নি। আমানতের জন্য নতুন ব্যাংকগুলো মরিয়া থাকলে ব্যাংক খাতে সামগ্রিক সুদহার বেড়ে যেত অস্বাভাবিকভাবে।

পর্যালোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ব্যাংক ব্যবসায় ৯টি নতুন ব্যাংক তাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের শাখা সন্তোষজনকভাবে বেড়েছে। এদের কোনো খেলাপি ঋণ নেই। যা আর্থিক সূচকে ভালো ইঙ্গিত বহন করে।

২০১৩ সালে নতুন ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে একটি শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং করছে। তিনটি ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছেন প্রবাসীরা।

নতুন এই ৯ ব্যাংক হচ্ছে- মধুমতি, মিডল্যান্ড, সাউথ বাংলা, মেঘনা, ইউনিয়ন, ফার্মারস, এনআরবি লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক।

জানতে চাইলে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী বলেন,নতুন ব্যাংকগুলো কার্যক্রমে আসার আগে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু গত ২ বছরে ব্যাংকগুলো চমৎকারভাবেই চলেছে। কোনো সমস্যা হয়নি ব্যাংক খাতে। বরং ব্যাংকিং খাতে নতুন প্রযুক্তি সংযোজন করেছে এসব ব্যাংক।

তিনি আরও বলেন,‘প্রশ্ন উঠেছিল আমানত সংগ্রহে অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। কিন্তু সেটি হয়নি।’ আগামীতে নতুন ব্যাংকগুলো আরও ভালো করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, নতুন ব্যাংকগুলোর সম্পদ দাঁড়িয়েছে সমগ্র ব্যাংক খাতের সম্পদের আড়াই শতাংশ। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে ছিল ২ শতাংশ। মোট ঋণ ও অগ্রিমে এসব ব্যাংকের অংশ ২ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৩ সাল শেষে ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।

ব্যাংকগুলোর সম্পদের গুণগতমান সন্তোষজনক। তাদের খেলাপি ঋণ শূন্যের ঘরে। এর কারণ-তাদের ঋণ ও অগ্রিম পুরনো ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক কম। তারা এখনও নিরাপদ নগদ ঋণের ওপর নির্ভরশীল রয়েছে।

শ্রেণীকৃত ঋণ নেই বিধায় এসব ব্যাংকের প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিত রাখার চাপ খুবই কম। নিয়মিত ঋণের ওপরই তাদের প্রভিশন রাখতে হচ্ছে।

২০১৩ সাল শেষে নতুন ব্যাংকগুলোর শাখার সংখ্যা ছিল ৬৫টি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৪টি।

সূত্র: বাসস

Print Friendly, PDF & Email