অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে চরাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
তিনি বলেন, চরবাসীর জীবন মান্নোয়নে চরে ভোকেশনাল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। এক্ষেত্রে চরবাসীকে নিয়ে কাজ করছে, এমন প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘চ্যালেঞ্জ ফান্ড’ হতে অর্থায়ন প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবে। তিনি জানান, পশু পালনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ শতাংশ সুদহারে ২০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্র্থায়ণ স্কীম খুলেছে। এ তহবিলের বেশিরভাগ যেন চরের মানুষেরা পায়, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট নির্বাহীদের নিদের্শনা দেন গভর্নর।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে চর জীবিকায়ন কর্মসূচি (সিএলপি) আয়োজিত ‘সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিএলপির টিম লিডার ম্যাথিউ প্রিচার্ডের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নওশাদ আলী চৌধুরী, এসিআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আনিস-উদ-দৌলা, সিএলপির পরিচালক (পলিসি এন্ড গর্ভনেন্স) রাবেয়া ইয়াসমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাসটেইনএবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কুমার বিশ্বাস সিএসআর নীতি ও কার্যক্রমের ওপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
গভর্নর বলেন, ‘আমি দেখতে চাই চর হবে বাংলাদেশের সবুজ ক্ষেত্র। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও টেকসই অর্থায়ণের মাধ্যমে এই চর কমিউনিটিকে গড়ে তুলতে হবে।’এ জন্য তিনি সিএলপির সাথে হাত মিলিয়ে চরের মানুষের জীবন মান্নোয়নে বেশি বেশি সিএসআর কর্মসূচি গ্রহণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানান।
সিএসআর উদ্যোগের সাথে চরের বঞ্চিত মানুষের সম্পৃক্ততা জরুরি উল্লেখ করে আতিউর রহমান বলেন, ‘চর জীবনের সাথে আমি আগন্তুক নই- অতি পরিচিত। চরের স্থিতিশীলতা রক্ষা একটি বিরাট ঝুঁকি। এজন্য এখানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।’এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও আর্থিক সহায়তা জোরালো করা হবে বলে তিনি জানান।
গভর্নর বলেন, ‘দারিদ্র দূরীকরণে টাকার অভাব বড় নয়, আস্থার অভাবই বড় অভাব। সম্মিলিত প্রয়াশে, অংশীদারিত্ব মাধ্যমে কাজ করতে পারলে দারিদ্র্যর ভূত অবশ্যই বিতাড়িত হবে।’চরবাসীর ভাগ্য বদলে সরকার, এনজিও, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তারা সবাই এক যোগে কাজ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ান এইড ও যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার (ইউকে এইড) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় উত্তরবঙ্গের ১০ জেলায় সিএলপি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এর আওতায় চরবাসীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা, অতিদরিদ্র পরিবারের আয়-উপার্জন এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করা হচ্ছে।
এ বিভাগের আরো..
তেঁতুলিয়ায় আই এফ আই সি ব্যাংকের উদ্যোগে আর্থিক স্বাক্ষরতা দিবস
বগুড়া যমুনা চরে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা
জিরা চাষে সাফল্যের স্বপ্ন দেখছে কৃষক জহুরুল