আদালত প্রতিবেদক : বিচারাধীন বিষয় নিয়ে একাত্তর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খবর ও আলোচনা অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং সেখানে শোনানো দুই বিচারকের কথিত কথোপকথনের অডিও টেপ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
আদালত প্রতিবেদক : বিচারাধীন বিষয় নিয়ে একাত্তর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত খবর ও আলোচনা অনুষ্ঠানের ভিডিও এবং সেখানে শোনানো দুই বিচারকের কথিত কথোপকথনের অডিও টেপ আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রোববার বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আপিল বেঞ্চে একাত্তর টেলিভিশনের ওই ভিডিও ও অডিও সিডি জমা দেন।
আগামী মঙ্গলবার বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে। প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা।
আদালতে রেকর্ড উপস্থাপনের সময় একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চূড়ান্ত রায়ের আগে বিচারকদের কথিত ভূমিকা নিয়ে গত ১৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠে স্বদেশ রায়ের লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
‘সাকার পরিবারের তৎপরতা: পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে ওই লেখায় আদালত অবমাননা হওয়ায় গত ১৩ অগাস্ট জনকণ্ঠ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ এবং নিবন্ধের লেখক স্বদেশ রায়কে সাজা দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
রায়ের আগে আপিল আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির সময় জনকণ্ঠের আইনজীবী একটি অডিও রেকর্ডের শ্রুতিলিখন উপস্থাপন করেন, যা বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলা এবং মওদুদ আহমদের বাড়ি নিয়ে মামলার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্য এক বিচারকের কথোপকথন বলে আইনজীবীর দাবি।
একাত্তর টেলিভিশন ১০ অগাস্ট অবমাননা মামলা নিয়ে তাদের প্রতিবেদনে ওই অডিও টেপ সম্প্রচার করে। রাতে তাদের সংবাদ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান ‘একাত্তর জার্নাল’- এ ওই টেপের বিষয়ে আলোচনাও হয়।
ওই অনুষ্ঠান নজরে আসায় পরদিন আপিল আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের মতামত শোনে। এরপর একাত্তর টেলিভিশনকে ১৬ অগাস্টের মধ্যে ভিডিও ও অডিও টেপ জমা দিতে বলা হয়।
ওইদিন আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের বলেন, “যে বিচারাধীন বিষয়ে এবং যেই টেপ আদালতে বাজাতে দেওয়া হয়নি এবং যে বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করলে আদালত নিয়ে কুৎসা রটানো হয়, সেটি আবার বাজিয়ে দেশবাসীকে শুনিয়ে তারা আদালত অবমাননা করেছেন কি না- এটিই আদালত পরীক্ষা করবে।”
এ বিভাগের আরো..
বিচারক-আইনজীবীদের কালো কোট-গাউন পরতে বাধ্যবাধকতা নেই।
দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেন
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী