ডেস্ক প্রতিবেদন : বাংলাদেশে রপ্তানি না করেও বিশ্বে গরুর মাংস রপ্তানিতে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। মার্কিন এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্টের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ভারত সমাপ্ত অর্থবছরে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন গরুর মাংস রপ্তানি করে। ২ মিলিয়ন টন রফতানি করে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। তালিকায় তিন নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের পরিমান দেড় মিলিয়ন টন। আর তিন দেশ মোট গরুর মাংস রপ্তানি করছে ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে ভারত একাই সাড়ে ২৩ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ২০ দশমিক ৮ শতাংশ।
এদিকে ভারতের গরু নির্ভর বাংলাদেশের জন্য এ বছরের ঈদুল আজহায় গরু নিয়ে বিপাকে পরার আশঙ্কা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগান কমে যাওয়া বা আমদানি বন্ধ হওয়ায় দেশে গরুর সংকট সৃষ্টি ও দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এখাতের ব্যবসায়ীরা। আর মজুদ থেকে একসঙ্গে এতো গরু জবাই হলে দেশের প্রাণিসম্পদের ওপর চাপ পড়তে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় পশু বাংলাদেশে রয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তথ্যমতে, এ বছর একটু বেশি দাম দিতে হলেও এ ঘটনা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হবে। এতে দেশীয় গবাদি পশু পালনকারীরা ভালো দাম পাবে এবং ভবিষ্যতে গরু পালনের হার বাড়বে। দেশে এখন গরু আছে দুই কোটি ৩৬ লাখ। এর একটি বড় অংশ গাভি ও কম বয়সী। প্রায় ২৫ লাখ জবাই উপযোগী। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, বাকি ১০ লাখ গরুর চাহিদা পূরণের জন্য কিছু গাভিও বাজারে চলে আসবে। পাশাপাশি ভারত থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে কিছু গরু আসবে।
জানা গেছে, সারা বছরের চাহিদার ৫০ শতাংশ গরু জবাই হয় কোরবানিতে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশে ৮৬ লাখ ২২ হাজার গরু-মহিষ জবাই হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৭২ লাখ গরু।
এ বিভাগের আরো..
ঢাকা-ব্রাজিল সামগ্রিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর
দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেন
শেখ হাসিনা গাজা পুনর্দখলের ইসরাইলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন