নিজস্ব প্রতিবেদক : জালনোট বিস্তার রোধে বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশ পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট বা সিআইডি জালনোট চিহ্নিত করতে ভালভাবে সক্ষম। তারপরও ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) বাংলাদেশকে জাল নোট চিহ্নিত ও পরীক্ষা করার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহী।
রাজধানীর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মোখলেসুর রহমান এ সব তথ্য জানান। বিদেশী জালনোট প্রচলন ও প্রবেশ রোধে বাংলাদেশ-ভারত টাস্কফোর্সের যৌথ সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
দুই দিনের এ যৌথ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনআইএ) আইজি এস কে সিংয়ের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসেন।
তিনি বলেন, ‘যৌথ টাস্কফোর্স গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, ডাটাবেজ তৈরি, জালনোট কিভাবে আসে তা চিহ্নিত করা ও জালনোট ভালভাবে পরীক্ষা করার বিষয়ে একমত হয়েছে।’
মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘জালনোট মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসবাদী কাজের অর্থায়ন ও মাদক পাচারে ব্যবহৃত হয়। তবে টাস্কফোর্সের আলোচনা শুধু জালনোটে সীমাবদ্ধ ছিল না। ভারত থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র ও ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদক চোরাচালান, সন্ত্রাসবাদ ও স্বর্ণ পাচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এনআইএ’র আইজি এস কে সিং বলেন, ‘দুই দেশ এক সঙ্গে কাজ করলে এ সকল অপরাধীদের প্রতিরোধ করা সম্ভব। দুই দেশের সমন্বয়ে গঠিত এ টাস্কফোর্স নিয়ে আমরা আশাবাদী।’
এ বিভাগের আরো..
সাবেক বিচারপতি আবদুল আউয়ালের ইন্তেকাল
দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেন
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী