নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লিখিত ভাষণ দেওয়া ছাড়া রাষ্ট্রপতির বর্তমানে আর কোনো কাজ নেই বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র আইনজীবী ড.শাহদীন মালিক। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমানে প্রেসিডেন্টের পদই অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। ২০ বছর ধরে সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে। এই কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য ভাল না। ’
রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’ আয়োজিত ‘পূর্ণ গণতন্ত্রের জন্য ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রীকেও নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। প্রধান বিচারপতি নিয়োগে তো প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিতে হতো। আর প্রধানমন্ত্রী তো সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা। তিনি তো এমনিতেই হবেন।’
তিনি বলেন, ‘এই পদের (রাষ্ট্রপতি) তো কোনো কাজ নেই। সমাবর্তনের বক্তব্য ছাড়া তার আর কোনো কাজই নেই। তাও আবার লিখিত বক্তব্য, যা অন্যে লিখে দেন। ক্ষমতার ভারসাম্যের জন্য রাষ্ট্রপতির কিছু কাজ দরকার।’
ড. শাহদীন মালিক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রকৃত সংসদীয় গণতন্ত্র নেই। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণে সরকারকেও সময় দেওয়া দরকার। আর বর্তমানে তো বাংলাদেশে প্রকৃত সংসদীয় সরকারই নেই।’
উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামছুল হুদার সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. রওনক জাহান, টিআইবির চেয়ারম্যান এম. হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মুহম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
এ বিভাগের আরো..
ঢাকা-ব্রাজিল সামগ্রিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর
দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেন
শেখ হাসিনা গাজা পুনর্দখলের ইসরাইলি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন