বিদেশ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি রাজ্যের ফার্গুসনে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশের বর্ণবাদী আচরণের বিপক্ষে এক বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আঠারো বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ আহত হবার পর সেখানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকা টাইরন হ্যারিসের বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনেছেন সরকারী কৌসুলিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসন শহরে পুলিশের গুলিতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউন নিহত হবার বছরপূর্তিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসেছিল তারই বন্ধু টাইরন হ্যারিস। খবর বিবিসি বাংলার।
পুলিশ বলছে, ঐ সমাবেশ থেকে প্রথম পুলিশের দিকে গুলি ছুড়েছিল এমন ছয় ব্যক্তির একজন হ্যারিস।
তবে, হ্যারিসের বাবা জানিয়েছেন, তার ছেলে নিরস্ত্র ছিল, এবং পুলিশ যখন হামলা চালায়, সে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালাচ্ছিল।
এখন সরকারী কৌশুলিরা হ্যারিসের বিরুদ্ধে পুলিশে কাজে বাধা প্রধান এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাটর্নী জেনারেল লোরেটা লিঞ্চ ঐ সহিংস হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
এটর্নি জেনারেল বলেছেন, আমরা সাম্প্রতিক মাস এবং বছরগুলোতে দেখছি, এধরণের সংঘাত যেকোনো শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বার্তাকে পুরোপুরি আড়াল করে দিচ্ছে।
আমাদের এবং নিরাপত্তাবাহিনীতে যারা কাজ করেন, তাদের বিপজ্জনকভাবে মুখোমুখি করে দেয়।
অন্যদিকে, পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হ্যারিস এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
রোববারের ঐ সহিংস ঘটনার পর পুলিশ অন্তত পঞ্চাশ জনকে গ্রেপ্তার করে।
এদের মধ্যে রয়েছেন নাগরিক অধিকার আন্দোলনকর্মী কর্নেল ওয়েষ্ট।
বিক্ষোভকারীরা সরকারের কাছে ফার্গুসনের পুলিশ বাহিনীকে বিলুপ্ত করে দেবার আহ্বান জানিয়েছে বলে জানাচ্ছে সেখানকার গণমাধ্যম।
এ বিভাগের আরো..
রাফায় হামলা হলে ইসরায়েলের ‘বিপজ্জনক পরিণতি’ হবে
দুই সিটির নবনির্বাচিত মেয়ররা শপথ নিলেন
ইসরায়েল আল-শিফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে: হামাস