April 28, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

রাজধানীতে সবজির দামের ঊর্ধ্বগতি

ডেস্ক প্রতিবেদনঃ রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েই চলছে। বিক্রেতাদের দাবি, যেসব এলাকা থেকে বেশি সবজি আসে, সেই এলাকাগুলোতে বন্যায় শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ জন্য সবজির সরবরাহও কম বলে রাজধানীতে দাম বেশি।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর কাঁঠালবাগান, হাতিরপুল ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবখানেই প্রায় একই দামে বিভিন্ন ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা যেসব সবজি সবচেয়ে বেশি কেনেন, এর বেশির ভাগই ৫০ টাকার নিচে নয়।

এসব বাজারে করলা প্রতি কেজি ৬০-৭০ টাকা, পটোল ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫৫-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা তালেব মিয়া বলেন, ঈদের পর সবজির দাম সহনীয় ছিল। প্রায় সব সবজিই ৪০ টাকার মধ্যে ছিল। যেই মানুষ ঢাকায় আসতে শুরু করল, অমনি সবজির দামও দফায় দফায় বাড়তে থাকল।
সবজির দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. নোমান বলেন, ‘বাজারে মাল কম আহে, বন্যায় খেত ডুইবা গেছে। সরবরাহ বাড়লে না দাম কমব।`

নিয়মিত বাজার করেন তেজতুরি বাজার এলাকার বাসিন্দা মইনুল হোসেন। তিনি বলেন, ‘সবজির দাম এতই বেশি যে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই বেশি দাম দিয়ে কিনছি।`

সবজির পাশাপাশি বেড়েছে পেঁয়াজ, মরিচ, ধনেপাতা ও শাকের দামও। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। মরিচ ১০০-১২০ টাকা, ধনেপাতা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হাতিরপুলের মরিচ ও ধনেপাতা বিক্রেতা মাইজা মিয়া বলেন, ‘দাম বাড়তি, পানিতে সব ডুইবা গেছে। অল্প অল্প মাল আহে, আমাগো অনেক দাম দিয়া কিনতে হয়। হের লাইগা বেচতেও হয় বেশি দামে।`

তিনটি বাজারে আরও কয়েকজন সবজি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা সারা দেশে চলমান বন্যাকেই সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মনে করছেন। তাঁরা বলেন, যত দিন না সবজির সরবরাহ বাড়বে দাম বাড়তেই থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email