May 16, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

২০১৭ সালেই উৎক্ষেপণ হবে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’

সংসদ প্রতিবেদক : ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণ সম্ভব হবে। সংসদ কার্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার এই তথ্য জানিয়েছেন। সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. আবুল কালামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে মহাকাশে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই)’ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর)’ অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে বাজার বিশ্লেষণ ও সম্ভাব্যতা যাচাই, বিজনেস প্ল্যান প্রস্তুত, অপারেটিং কোম্পানি গঠনের রূপরেখা প্রণয়ন, অর্থায়নের বিষয়ে বিভিন্ন উৎসের সন্ধান, খসড়া টেন্ডার ডকুমেন্ট ও বিনির্দেশ প্রস্তুত এবং অরবিটাল স্লট বিশ্লেষণ ও চূড়ান্তকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে দুই হাজার ৯৬৭ দশমিক ৯৫৭৭ কোটি (জিওবি এক হাজার ৩১৫ দশমিক ৫১৩৫ কোটি টাকা ও প্রকল্প সাহায্য এক হাজার ৬৫২ দশমিক ৪৪৪২) টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ’ শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য এক হাজার ১৯১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ অরবিটাল স্লট লিজ ইন ‘রাইট ট ইউজ’/সংগ্রহের ‘প্রকিউরমেন্ট’ এর লক্ষ্যে গত ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারিতে বিটিআরসি ও রাশিয়ার ‘ইন্টারস্পুটনিক’-এর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৪ মার্চে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট সিস্টেম’ ক্রয়ের মূল দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিলে প্রাক দরপত্র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইন সিস্টেম’ ক্রয়ের দরপত্র দলিল অনুযায়ী দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল ২০১৫ সালের ১৮ জুন।

সরকারি দলের সদস্য মো. তাজুল ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা তথা ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি প্রসারের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাগভর্মেন্ট ও ইনফোসরকার-২ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য করার মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ৪ দফায় ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্য কমানো হয়েছে। ভবিষ্যতে বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে এর মূল্য আরও কমানোর বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, ইনফোসরকার-২ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে জনগণের সুবিধার্থে বিনামূল্যে ‘ওয়াই-ফাই’ ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সুবিধা আরও সম্প্রসারণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email