নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েকদিনের টানা বর্ষণে জেলায় প্রায় আটশ বসতবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের বাজালিয়া এবং বান্দরবান-রাঙ্গামাটি এলাকার স্বর্ণ মন্দির এলাকার পুলপাড়া বেইলি ব্রিজসহ কয়েকটি স্থানের সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে পাহাড় ধসে সড়কের উপর পড়ায় বান্দরবানের রুমা ও থানছির অভ্যন্তরীণ সড়কও বন্ধ রয়েছে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বান্দরবান শহরের নিম্নাঞ্চল আর্মিপাড়া, ওয়াপদা ব্রিজ, শেরে বাংলা নগর, ইসলামপুর, কাসেম পাড়া, অফিসার্স ক্লাব এলাকা, ক্যাচিং পাড়া এবং লামা উপজেলা শহর বাজার এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলের প্রায় আটশ ঘরবাড়ি এবং চলাচলের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত এলাকার মানুষ বিভিন্ন বিদ্যালয় ও আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বান্দরবান পৌর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা জানান, প্লাবিত স্থান এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে পৌর এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকেও দুর্যোগ মোকাবেলায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারী ও বন্যায় প্লাবিতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের ডেপুটি নেজারত (এনডিসি) শামীম হুসাইন জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বান্দরবান সদরে পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং হয়েছে।
এদিকে বান্দরবানের সাংগু নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় থানছি উপজেলার তিন্দু ও রেমাক্রী ইউনিয়নের সঙ্গেও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিকল্প কোনও যোগাযোগ মাধ্যম না থাকায় নদী পথেই তিন্দু ও রেমাক্রী ইউনিয়নের লোকজনকে যাতায়াত করতে হয়।
থানছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নদীপথে স্থানীয়দের যাতায়াত আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে নদীপথে কোনও নৌকা ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা চলাচল করছে না। ফলে দুটি ইউনিয়নের জনসাধারণ আটকা পড়েছে। নদীতে প্রবল বর্ষণে এ দুটি এলাকায় কোনও পর্যটককেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
পাঁচদিন ধরে টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানের সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এভাবে বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বান্দরবানে পাহাড় ধসে প্রাণহাণির ঘটনা ঘটেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিভাগের আরো..
কুয়াকাটায় রাস উৎসব উদযাপন
রমজানে আমিরাতে নিত্যপণ্য মূল্য ৭৫ শতাংশ হ্রাসের ঘোষণা খুচরা বিক্রেতাদের
মৃত্যুর আগে অনুভূতি কী হয়, জানাল গবেষণা