সংসদ প্রতিবেদক : ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ন্যূনতম করের পরিমান ৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। ফলে পূর্বের নির্ধারিত সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদরের পৌরসভা এবং অন্যান্য এলাকাসহ মোট তিনটি স্তরের ন্যূনতম করের যে সীমা ছিল তা এখন আর থাকছে না। তবে করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থ আইন ২০১৫ এর ভিত্তিতে নতুন এ করহার নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ জুলই ২০১৫ থেকে এটি কার্যকর হবে।
এছাড়া মহিলা, ৬৫ বা তার বেশি বয়সে করদাতার করমুক্ত সীমা ৩ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধীদের ৩ লাখ ৭৫ হাজার এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অর্থবিলে বলা আছে, “ইনকাম টেক্স ওডিনেন্স ১৯৮৪ (ওয়াডার নং XXXVI অব ১৯৮৪) এর কেশন ২(৪৬) এ সাংজ্ঞায়িত ব্যক্তিগণের মধ্যে যাহাদের ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ-খ প্রযোজ্য হইবে না সেই সকল প্রত্যেক ব্যক্তি-করদাতা (অনিবাসী বাংলাদেশিসহ), হিন্দু যৌথ পরিবার, অংশীদারী ফার্ম, ব্যক্তি-সংঘ এবং আইনের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম ব্যক্তির ক্ষেত্রে মোট আয়োর উপর আয়করের হার নিম্নরূপ হইবে।
(ক) প্রথম আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর শূন্য; (খ) পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১০ শতাংশ; (গ) পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ; (ঘ) পরবর্তী ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০ শতাংশ; (ঙ) পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২৫ শতাংশ; (চ) অবশিষ্ট মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ।
তবে শর্ত থাকে যে, মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বৎসর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতা করমুক্ত আয়ের সীমা হইবে ৩ লাখ টাকা; প্রতিবন্ধী করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা হইবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা হইবে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।”
এ বিভাগের আরো..
বিদেশীদের কাছে নালিশ করে কোনো লাভ হবে না : সংসদে প্রধানমন্ত্রী
পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের পাশাপাশি জনগণেরও নজরদারি চাই : সংসদে প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ আগামী ৫ বছরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী