April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

রমজানে ৩ ধাপে বাজার অভিযান করবে টিসিবি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে তিন দফা বাজার অভিযানের প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার । বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এ অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এরইমধ্যে টিসিবি এর রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে বলে জানিয়েছেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরওয়ার জাহান তালুকদার।

জানা গেছে, রূপরেখা অনুযায়ী আগামী ২ জুন পবিত্র শবে বরাতের দিন থেকে শুরু হবে বাজার অভিযানের প্রথম দফা । দ্বিতীয় দফা হবে পহেলা রমজানের দিন এবং তৃতীয় দফায় বাজার অভিযান পরিচালনা করা হবে ১৫ রমজান। এসময় বাজারে ভ্রাম্যামাণ আদালতের মাধ্যমে রমজানে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের সরবরাহ, মজুদ পরিস্থিতি ও এর মূল্য ঠিক আছে কিনা তা অধিকতর যাচাই বাছাই করা হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, কৃত্রিম চাহিদা বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত মুনাফা করার অভিযোগ পেলে বিদ্যমান আইনে জেল-জরিমানা বা উভয় দণ্ড দিতে পারবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার একইসঙ্গে দেশের সর্বত্র টিসিবির ৩ হাজার ৫৪ জন তালিকাভূক্ত ডিলারের মাধ্যমে ৫টি পণ্যের বাজারজাত করবে। এসব ডিলার বাজার মূল্যের তুলনায় কম মূল্যে (সরকার নির্ধারিত) স্বল্প আয়ের মানুষদের কাছে পণ্যগুলো বিক্রি করবে। ডিলাররা নামমাত্র মুনাফায় এসব পণ্য বাজারজাত করবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ছোলা, চিনি, মসুর ডাল, ভোজ্যতেল ও খেজুর। এসব পণ্যের দর কতো হবে তা এখনও নির্ধারণ করেনি টিসিবি। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিসিবির এই ডিলাররা রয়েছে বলে জানা গেছে।

টিসিবি সূত্রে আরও জানা গেছে, ডিলারদের পাশাপাশি এ বছর দেশব্যাপী ১৭৪টি ট্রাকের মাধ্যমে টিসিবির নিজস্ব উদ্যোগে ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি করবে। এই ১৭৪টি ট্রাকের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় থাকবে ২৫টি, চট্টগ্রামে থাকবে ১০টি, প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে ৫টি এবং প্রতিটি জেলা সদরে ২টি করে ট্রাক থাকবে। এই ট্রাকগুলো রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ শ্রমঘন এলাকায় দাড়িয়ে নিত্যপণ্যগুলো বিক্রি করবে।

জানা গেছে, প্রতিটি ট্রাকে প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ১ হাজার কেজি চিনি, ২শ’ থেকে ৪শ’ কেজি মুসুর ডাল, ২শ’ থেকে ৮শ’ কেজি ছোলা, ১শ’ থেকে ২শ’ কেজি খেজুর ও ৪শ’ থেকে ৬শ’ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, বাজারে কোনও পণ্যের ঘাটতি নেই। ভবিষ্যতেও কোনও পণ্যের ঘাটতি হবে না। রমজান উপলক্ষ্যে সরকারের কাছে নিত্যপণ্যের সন্তোষজনক মজুদ রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

রমজান উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি জানতে চাইলে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরওয়ারজাহান তালুকদার জানান, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এই মহান কাজের সঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরাও সম্পৃক্ত হয়েছেন। আশা করছি আসছে রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

Print Friendly, PDF & Email