নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত ভ্রমণ করতে দেশটির সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নতুন ই-ট্যুরিষ্ট ভিসা পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে। এই ই- টোকেন পদ্ধটি ভারতের প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ভারতে প্রবেশ করতে বাংলাদেশি নাগরিকদের আরো সহজ ও ঝামেলামুক্ত করা প্রয়োজন। দিল্লির উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদির ঢাকা সফরের মধ্যদিয়ে ভারতে প্রবেশে আরো সহজ করতে নতুন ইলেকট্রনিক ভিসা স্কীমের ঘোষণা দিতে পারে।
মোদির এই ভিসা ঘোষণার মধ্য দিয়ে অবসান হবে ভারতে প্রবেশের ভিসা পাওয়ার জটিলতা। একই সাথে কম সময়ের মধ্যে এবং ঝামেলামুক্তভাবে ভিসা পাওয়া যাবে। তাতে ভারত সরকারের প্রতি বিলম্বে ভিসা প্রদানের কয়েক বছরের যে অভিযোগ রয়েছে তার অবসান হবে।
ভারতের ই-টোকেনের জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবেশ ফি ছাড়া জনপ্রতি ৬০ মার্কিন ডলার ফি জমা দিতে হয়। বাংলাদেশি নাগরিকরা ভারতের ৯টি বিমান বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। এগুলো হচ্ছে- বেঙ্গালোর, চেন্নাই, কোচিন, দিল্লি, গোয়া, হায়দ্রাবাদ, কোলকাতা, মুম্বাই ও ত্রিভান্দরাম।
বিদেশিরা ভারতের যে কোন একটি চেক পোস্ট দিয়ে বের হতে পারে। ই-টোকেনে বছরে সর্বোচ্চ দুই বার প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। ভারত সরকার গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে ৪৫টি দেশের জন্য ই ভিসার ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ চীনকে যুক্ত করেছে দেশটির সরকার। আরো ৭৬টি দেশকে এ সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিজেপির নেতৃত্বাধীন মোদি সরকার চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা ১৫০টি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারি হিসাবে গত বছর সাড়ে ৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক বৈধভাবে ভারত ভ্রমণ করেছে। ই-টোকেন ভিসার পদ্ধতি বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় । এর মধ্যে ভিসা পেতে বিলম্ব, অনলাইনে আবেদনে জটিলতা, পাসপোর্টে ভিসার ক্লিয়ারেন্স পেতে দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা এ সমস্যাগুলো অন্যতম।
মোহাম্মদ জাকারিয়া নামে প্রাইভেট কোম্পানির একজন চাকরিজীবী, ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভারতে ঘুরার জন্য ভিসা পেতে আবেদন করে। পরবর্তীতে ভিসা পাওয়ার ঝামেলায় ব্যর্থ হয়ে অন্য দেশে ভ্রমণ করেছে।
এ বিভাগের আরো..
দেয়ালে আঁকলে বকা না দিয়ে বুদ্ধি খাটান
ঠোঁটের পেছনে খরচ প্রায় ৪ কোটি টাকা