ডেস্ক প্রতিবেদন : আষাঢ়-শ্রাবণ দু’মাস নিয়েই বর্ষাকাল। সারাদিন ঝমঝম বৃষ্টি। আকাশ ছেয়ে ছাইরঙা মেঘের আনাগোনা। কিন্তু সেসময় আসতে এখনো কয়েকদিন বাকি। তবে তারই আগমনী বার্তা নিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ফুটতে শুরু করেছে বর্ষার রানি কদমফুল।
কদম ফুলের স্নিগ্ধ ঘ্রাণে মুগ্ধতার নিশ্বাস টেনে নেয় বর্ষাপাগল মানুষেরা। তাদের জন্য কদম গাছের সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে থাকা অজস্র কদম ফুলের সুগন্ধ এরই মধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে বাতাসে।
কদমফুল আসলে সবাই পছন্দ করে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কদমফুল নিয়ে খেলা করে। এ ফুল আমাদের দেশের সব এলাকাতে দেখা গেলেও এর আদি নিবাস ভারতের উষ্ণ অঞ্চলে, চীন ও মালয়। কদম নীপ নামেও পরিচিত। এছাড়া বৃত্তপুষ্প, মেঘাগমপ্রিয়, কর্ণপূরক, মঞ্জুকেশিনী, পুলকি, সর্ষপ, ললনাপ্রিয়, সুরভি ইত্যাদি মনোহর সব নাম রয়েছে কদমের।
ছোট বলের মতো দেখতে এ ফুলের ভেতরভাগে রয়েছে মাংসল পুষ্পাধার। যাতে হলুদ রঙের পাপড়িগুলো আটকে থাকে। পাপড়ি মাথায় থাকে সাদা রঙের পরাগ। হলুদ-সাদা কদমফুল গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে দেখতে সুন্দর লাগে। ফুলে ভরা কদমগাছ দেখতে অসাধারণ হলেও এর আর্থিক মূল্য খুব কম। কাঠ নরম বলে আসবাবপত্র তৈরি করা যায় না। কাঠ দিয়ে দেয়াশলাই ও কাগজ তৈরি হয়ে থাকে।
তবে যান্ত্রিক সভ্যতা ও নগরায়ণের যুগে কমতে শুরু করেছে কদমগাছ। আদিকাল থেকে কদমফুল বর্ষার প্রকৃতিকে রাঙিয়ে যাচ্ছে। কদমফুল ছাড়া বর্ষা যেন একেবারে একা, নিঃসঙ্গ। আর তাই, প্রকৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে অন্যান্য গাছের পাশাপাশি কদমগাছও রোপণ করা জরুরি।
এ বিভাগের আরো..
পানির বোতলের মুখের রং লাল, নীল রং এর অর্থ কী?
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর হোক: অমর একুশে, মাতৃভাষা ও আমরা
ছয় দফা: স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সেতুবন্ধ