April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রয়োজন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রয়োজন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও সামঞ্জস্যপূর্ণ আয়। সমগ্র বিষয়টি নির্ভর করছে আর্থিক স্থিতিশীলতা উপর। আর এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নীতি নির্ধারণের পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে মুল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা শীর্ষক আর্ন্তজাতিক এক সেমিনারে আইএলও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে। উপস্থাপিত এ প্রবন্ধে কর্মসংসংস্থান বাড়ানোর এ পরামর্শ দেয়া হয়।

প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আইএলওর সাবেক পরিচালক ড. মুহাম্মদ মোক্তাদা বলেন, বাংলাদেশের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্চ কর্মসংস্থান বাড়ানো। এখানে অনেক জনবল থাকলেও দক্ষ জনশক্তির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই দক্ষ জনশক্তি গড়ার জন্য কার্যকরী নীতি প্রণয়ন জরুরি। এটার প্রয়োগ বলে পরামর্শ প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশে খাদ্য ও জ্বালানীতে মূল্যস্ফীতি সবসময় উর্ধ্বমূখী উল্লেখ করে প্রবন্ধে বলা হয়, সরকারের আয় ও ব্যায়ের মধ্যে যথেষ্ট অমিল রয়েছে। যার নেতিবাচকতা ভোগ করতে হয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মনিটরি পলিসির মাধ্যমে এটি কমিয়ে আনতে নীতি প্রণয়ন করতে পারে বলে পরামর্শ দেয়া হয়।

এ সময় আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেন, বাংলাদেশের এখন সবচেয়েব বড় সমস্যা হলো অদক্ষ জনবল, ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা যার জন্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে। শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর পামাপাশি তাদের কাজের পরিবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থনৈতিক আধুনিকায়নের জন্য এসব বিষয়ের প্রতি নীতি নির্ধারকদের নজর দিতে হবে।

এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আতিউর রহমান বলেন, অভ্যন্তরীন মূল্যমান স্থিতিশীল ও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবদান নিশ্চিত করা লক্ষ্যে নীতিগত সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছে। উদ্যোক্তা তৈরিতে, কৃষিতে, সবুজ অর্থায়নে, সিএসআর কর্মকাণ্ডে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করছে।

যেসব কারণে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে ৬ শতাংশের উপরে স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে বলে দাবি করেন গভর্ণর। তিনি বলে এখন আমাদের দেশে দারিদ্র কমছে, বৈষম্য বাড়ছে না, সাধারণ মনুষ, কৃষক থেকে শুরু করে সকলেই ব্যাংকিং চ্যানেলে যুক্ত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উন্নয়নমূখী ভূমিকার করণেই মূল্যস্ফিতি সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএলও (জেনেভা) এর লেবার ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান এনায়েতুল ইসলাম, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. স্বপন কুমার বালা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এস কে সুর চেীধুরী, আবুল কাশেম, নাজনীন সুলতানা সহ অন্যান্য নির্বাহী পরিচালকরা।

Print Friendly, PDF & Email