May 16, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

মোদির সফর : একাধিক চুক্তি নিয়ে দর কষাকষি ঢাকা-দিল্লির

ডেস্ক  প্রতিবেদন : বহুল প্রতীক্ষিত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সংবিধান সংশোধন করার পর দেশটির সঙ্গে বর্তমানে ঊষ্ণ সম্পর্ক বাংলাদেশের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর আগামী জুনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফর উপলক্ষে এখন আলোচনার টেবিলে দু’দেশের কূটনীতিকরা। একাধিক চুক্তি নিয়ে দর কষাকষি করছে ঢাকা ও দিল্লি। এরমধ্যে নতুন চুক্তিসহ কয়েকটি পুরানো চুক্তি নবায়ন করার বিষয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছে।

নরেন্দ্র্র মোদির সফর নিয়ে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে যেখানে পররাষ্ট্র সচিব এম শহিদুল হক সভাপত্বিত্ব করবেন।

স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুস্বাক্ষর করার জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় এ মাসের প্রথম সপ্তাহে পাস হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদির সফরের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

আশা করা হচ্ছে, তিনি জুন মাসের ৬ ও ৭ তারিখ ঢাকা সফর করবেন।

যে চুক্তিগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তার মধ্যে কোস্টাল শিপিং চুক্তি স্বাক্ষর এবং বাণিজ্য চুক্তি ও ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড প্রটোকলের নবায়ন প্রায় চূড়ান্ত।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা হলেও বিষয়টির কোনও মীমাংসা এ সফরে আশা করছেন না বাংলাদেশের কূটনীতিকরা।

এপ্রিল মাসে দিল্লিতে দুই নৌসচিব পর্যায়ের বৈঠকে কোস্টাল শিপিং চুক্তির খসড়া চুড়ান্ত হয় এবং অনুস্বাক্ষরিত হয়। একই বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেড প্রটোকলের নবায়ন পাঁচ বছরের জন্য হবে।

এর আগে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তি পাচঁ বছরের জন্য নবায়ন করা হবে বলে দুই দেশ সম্মত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন ‘এ চুক্তিগুলোর স্বাক্ষর বা নবায়নের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত।’

লাইন অব ক্রেডিট

নরেন্দ্র্র মোদির সফরের সময় ভারতের দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিট চুক্তিটির বিষয়টি নিয়ে দুই দেশ আলোচনা করছে।

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি লাইন অব ক্রেডিট দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরেক কর্মকর্তা বলেন ‘ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সফর করেছে এবং এ সম্পর্কে আরও বিশদ আলোচনা চলছে।’

তিনি বলেন, প্রথম লাইন অব ক্রেডিটের আলোকে দ্বিতীয়টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি কিন্তু আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে বলা যায়, এটি এক বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে না।’

কোন কোন খাতে এ অর্থ ব্যয় হবে, সুদের হার কত হবে, কত বছরের মধ্যে ফেরত দিতে হবে এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হয়নি।

প্রথম লাইন অব ক্রেডিটের মোট অর্থ ছিল এক বিলিয়ন ডলার যার মধ্যে ২০০ মিলিয়ন ডলার পরে অনুদান হিসেবে পরিবর্তিত হয়। ৮০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের সুদের হার ১ শতাংশ এবং ঋণ ফেরত দেওয়ার মেয়াদ ২০ বছর কিন্তু এর মধ্যে ৫ বছর গ্রেস সময় আছে।

অবকাঠামো, সড়ক ও রেল যোগাযোগ, পরিবহনসহ অন্যান্য খাতে এই অর্থ ব্যয় হয়। এছাড়া নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সংস্কৃতি চুক্তিটি নবায়ন হতে পারে।

সূত্র : ঢাকা ট্রিবিউন

Print Friendly, PDF & Email