April 29, 2024

দৈনিক প্রথম কথা

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক

মংলা-ঘাষিয়াখালী নৌ চ্যানেল চালু হচ্ছে জুনে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি বছর জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে বাংলাদেশ-ভারত নৌ বাণিজ্য প্রটোকলভুক্ত মংলা-ঘাষিয়াখালী নৌ চ্যানেল। এখন পরীক্ষামূলক নৌচলাচল শুরু করলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান।

মঙ্গলবার নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। নৌমন্ত্রী বলেন, মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেল আনুষ্ঠানিক চালু হলে সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে চলা শ্যালা নদী দিয়ে নৌ-যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেলটি খনন করিয়ে ছিলেন। কিন্তু এ পথের দুদিক দিয়েই প্রচুর পরিমাণে পলি মাটি আসার কারণে পথটি দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ চ্যানেল সংরক্ষণ করে নৌ চলাচল ঠিক রাখা হবে। এখানকার ১৩ কিলোমিটার পথে খুব কম পানি থাকে। ইতোমধ্যে এর কাজ অনেকটা শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শাজাহান খান বলেন, গত বছরের পহেলা জুলাই ড্রেজিং কাজ শুরু হয়। বর্তমানে এ পথে ৬=-৮ ফুট ড্রাফটের জাহাজ চলাচল করতে পারে। এ চ্যানেলের আরো ২০-২২ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করতে হবে।

নৌমন্ত্রী আরো বলেন, এই চ্যানেলকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে এর পার্শবর্তী এলাকায় একটি ১৮শ একরের টাইডাল বেসিন করতে হবে। তা না হলে এ পথটি পলি জমে নষ্ট হয়ে যাবে। এ জন্য সংরক্ষণমূলক ড্রেজিং এ পথে অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে রামপাল এলাকার ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল। ৩১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ নৌপথের ৭-৮ কিলোমিটারের কিছু স্থানে মৎস্য ঘের, বেড়িবাঁধ ও ক্যানেল দখল করে অবৈধ স্থাপনা করায় নাব্যতা সংকট দেখা দিলে ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এতে নৌ-প্রটোকলের অধীনে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ এবং মংলা নৌ-বন্দরের সঙ্গে দেশের বেশিরভাগ জেলার নৌ-যোগাযোগ বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিলে নতুন করে নৌ-মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রাধীন ৫৩টি নদী খনন কার্যক্রমের আওতায় এই খনন কাজ শুরু করা হয়। মংলা-ঘাষিয়াখালী নৌ-পথ সংলগ্ন এলাকায় উপকূলীয় বাঁধ ও চিংড়ি ঘের নির্মাণের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য নদীর মতো কুমারখালী নদীতে জোয়ারের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় পলি জমে নদীর তলদেশ ক্রমান্বয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পশুর ও বলেশ্বর নদীর জোয়ারের সঙ্গে আসা পলি বাগেরহাটের রামপাল এলাকায় দ্রুত জমা হচ্ছে।

পাশাপাশি নৌ-পথে ড্রেজিংয়ের কার্যকারিতা যাচাই ও কারিগরী পরামর্শ প্রদানের জন্য ২০১১ সালের ২০ মার্চ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নদী বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেমন সার্ভিসেসকে (সিইজিআইএস) নিয়োগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে নৌ সচিব, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান, প্রধান প্রকৌশলী ড্রেজিংসহ উধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email