তসলিমা নাসরিন : ভারতের দেয়ালে পুরুষের পেচ্ছাব বন্ধ করার জন্য অগত্যা ভগবানের ছবি সেঁটে দেওয়া হয়েছে। ভগবানের ছবি ছাড়া কোনও উপদেশ পরামর্শ হুমকি নীতিবাক্য কাজে লাগেনি। ভগবানের ছবি টাঙানোর পর পুরুষরা রাস্তার দেয়ালের দিকে মুখ করে প্যান্ট খোলা বন্ধ করেছে। খানিকটা হেঁটে গিয়ে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছিলো, না, সেটির ধৈর্য নাকি কারওর নেই। দেয়ালে ভগবান এসে বসার পর ধৈর্য্য দেখা যাচ্ছে আছে।
বাংলাদেশের একই সমস্যা। বাংলা ভাষায় যে এত অনুরোধ উপরোধ করা হয়েছে রাস্তায় পেচ্ছাব না করতে, কেউ শোনে না। ধর্ম মন্ত্রণালয় অগত্যা এক কাজ করলো, আরবি ভাষায় কিছু একটা লিখে দিলো দেয়ালে।
বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোক আরবি অক্ষর চেনে কিন্তু আরবি ভাষাটা জানে না। তারা শুধু জানে এই ভাষাটা পবিত্র কারণ ভাষাটা আল্লাহর নিজের ভাষা। আরবি ভাষায় যদি নোংরা গালিও দেয়ালে লিখে দাও, পুরুষরা ওই গালির ওপর শ্রদ্ধায় কপাল ঠেকাবে।
ভালো খবর হলো, পুরুষরা এখন আরবি-লেখা-দেয়ালে পেচ্ছাব করা বন্ধ করেছে। আমার এক বন্ধু সেদিন বললো, মানুষ বন্ধ করেছে বটে পেচ্ছাব, কিন্তু কুকুর তো বন্ধ করেনি। এই সমস্যার সমাধান কী করে হবে? ওর বক্তব্য. কুকুরদের শেথাতে হবে আরবি ভাষাটা আল্লাহর ভাষা, ওই ভাষার ওপর ঠ্যাং তুলে পেচ্ছাব করাটা ঠিক হচ্ছে না।
মুশকিল হচ্ছে, যে আল্লাহ কুকুরকে নাপাক বলে, সে আল্লাহকে সমীহ করার কোনও ইচ্ছে কুকুরের নেই। কুকুররা নাকি বলে দিয়েছে, আরও বেশি করে ওরা ঠ্যাং তুলে আল্লাহর ভাষার ওপর পেচ্ছাব করবে। কুকুরকে ধর্ম শেখাবে, অথচ ধৈর্য কি ধর্মমন্ত্রণালয়ের আছে?
এ বিভাগের আরো..
জলদস্যুদের কবলে নওগাঁর সাহিদুজ্জামানের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি
মসিক এ ইকরামুল হক টিটু দ্বিতীয় বার মেয়র নির্বাচিত
চকরিয়ায় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬তম জন্ম মহোৎসব উদযাপন